রবিবার সকালে ঈদের জামাত আদায়ের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ঈদুল আযহার আনুষ্ঠানিকতা। এর পর যে যার সাধ্যের মধ্যে পশু কোরবানি করে সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজের ত্যাগ স্বীকার করবেন। এ লক্ষ্যে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বসেছে গরু-ছাগলের হাট। বিভিন্ন মূল্যে গেরস্ত-খামারিরা তাদের কুরবানীর পশু বিক্রি করছেন।
অন্যান্য সময়ের চেয়ে এবার কোরবানির বাজার কিছুটা ঠাণ্ডা। রাজধানীর গাবতলিতে পশুর হাটে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে। গরু ছাগল হাটে উঠলেও বেচা বিক্রি তেমন জমেনি। গেরস্ত-খামারিরা বড়, মাঝারি, ছোট সব আকারেরই গরু তুলেছেন হাটে। তবে, ক্রেতাদের পছন্দ মাঝারি গরু। বড় গরুর চাহিদা এবার কম।
মাঝারি গরুর চাহিদা তেমন বেশি, দামও বেশি। শুক্রবার (৮ জুলাই) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত গাবতলির হাটে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। হাট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার হাটে বিক্রি বেশি হওয়ার কথা থাকলেও তেমনটি হয়নি। জুমার নামাজের পর ক্রেতা বাড়তে শুরু করে।
দুপুরে কথা হয় মিরপুর ১১ নম্বর থেকে হাটে আসা একজনের সঙ্গে। তিনি জানালেন, হাটে গরু এসেছে অনেক। বড়-ছোট সব আকারের গরু আছে। কিন্তু দাম অনেক বেশি। ছোট গরুর দামও চড়া। মাঝারি আকারের গরুর দামও অনেকটা নাগালের বাইরে। তিনি এক থেকে দুই লাখ টাকার মধ্যে একটি মাঝারি আকারের গরু কিনতে চান।
শ্যামলী থেকে আসা একজন জানান, দীর্ঘক্ষণ হাটে ঘুরে গরু কেনা চেষ্টা করছেন। ছোট আকারের গরু কিনবেন তিনি। গত বছরের তুলনায় এবার দাম একটু বেশি। গতবছর যে গরু ৮০-৯০ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে, সে ধরনের গরু এবার বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৩০ থেকে দেড় লাখ টাকায়।
১১টি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন মানিকগঞ্জের এক ব্যবসায়ী। সাড়ে ৬ লাখ টাকায় পাঁচটি গরু বিক্রি করার পরও তিনি বললেন; লাভ হয়নি।