জুন ২৪, ২০২২, ০৬:৪৮ পিএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বার্ষিক সিনেট অধিবেশন ২০২২ এ সাবেক উপাচার্য ফারজানা ইসলামের সময়ের ২০১৯-২০ সনের সংশোধিত ও ২০২০-২১ এবং ২১-২২ সনের রেকারিং বাজেট অনুমোদনে আপত্তি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে। সিনেট অধিবেশনের আলোচ্যসূচীর ৪ এবং ৫ এ ২০১৯-২০ সালের সনের (সংশোধিত) এবং ২০-২১ সনের মূল রেকারিং বাজেট ও ২১-২২ সনের মূল রেকারিং বাজেট অনুমোদনের জন্য তোলা হয়৷
এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে সাবেক উপাচার্য ড. শরীফ এনামুল কবির বলেন, 'ইউজিসির নজরে জাবির অনলাইন কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে৷ অনলাইন নিয়োগ পর্যন্ত হয়েছে। আমরা দেখেছি ঢাবিতে করোনার কারণে অনলাইনে সিনেটে হয়েছে। তবে কোন এক অদৃশ্য কারণে জাবিতে ২ বছর সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়নি। এই ২টি বাজেট ১৪৪৫ কোটি টাকা এসেছে। যত বিশ্ববিদ্যালয় আছে কোন কার্যক্রম সিনেট-সিন্ডিকেট ছাড়া অনুমোদন হয় না৷ অর্থ কমিটি সিনেটে পাশ হয়নি। যদি কোন নজির দেখাতে পারেন তাহলে আমরা পাশ করে নিব। উপাচার্য ড. নূরুল আলম বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর অর্থ কমিটি এবং সিনেটে রিপোর্ট করেছি।
ড. শরীফ এনামুল কবির আরো বলেন, আমাদের এখানে বাজেট এসেছে আমরা কেন তা পাশ করব না? কিন্তু যা ঘটেছে তা পত্রপত্রিকায় দেখেছি৷ বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩ এর এক্ট দ্বারা পরিচালিত। সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েটদের একটা ভূমিকা থাকে। যেদিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এসেছে সেটা কি এক অদৃশ্য কারণে সম্পুর্ণ আড়াল করে পাশ করা হয়েছে? আমরা কিছু না দেখে না শুনে অনুমোদন করে দায় নিতে পারি না।
রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি ব্যারিষ্টার শিহাব উদ্দীন খান, "আমরা জানি এই সিনেটে আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। ম্যান্ডেটরি প্রভিশন এড়িয়ে গেলে দায়িত্ব পালন করা হবে না। সিনেটকে এমন কিছু করা যাবে না যাতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। উপাচার্য কর্তৃক নির্ধারিত দিনে বার্ষিক সভায় উপস্থাপিত হতে হবে৷ বাস্তবায়নের পর এজেন্ডা সিনেটে বিবেচনার জন্য আনা হয়েছে। এ সময়ের কার্যকাল নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় হয়েছে। এ পর্যায়ে সিনেট সদস্যরা আমরা এর দায়দায়িত্ব নিতে পারি না। আমরা ৪,৫ পাশ করতে রাজি নই।"