কালিহাতী, ভুঞাপুরসহ টাঙ্গাইল জেলার ৬ উপজেলায় যমুনাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে এসব উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের প্রায় ১১৪টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানির অভাব, গো-খাদ্যের সঙ্কট এবং কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন সাধারণ মানুষজন। দেখা দিচ্ছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ বালাই।
মঙ্গলবার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়,মঙ্গলবার গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ী পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এদিকে, বিভিন্ন নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলা, কালিহাতী, ভুঞাপুর, গোপালপুরের চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চলের কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও বাসাইল উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে এসব এলাকার ঘর-বাড়ি, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। পানি বন্ধি হয়ে পরছেন মানুষজন।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় নতুন নতুন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় নদী ভাঙনও হয়েছে।” নদী ভাঙন ঠেকাতে কাজ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
সার্বিক পরিাস্থিতি তুলে ধরে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি গণমাধ্যমকে বলেন, জেলায় কয়েকটি উপজেলাতে বন্যার পানি বাড়ছে। বন্যার্তদের জন্য শুকনো খাবারসহ ত্রাণ সহায়তা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।” ভাঙনরোধ ও বন্যা মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, “পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে যাতে বন্যা কবলিত এলাকায় গবাদি পশু চুরি বা ডাকাতি না হয় সেটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য।“