জানুয়ারি ৫, ২০২২, ১২:৪৩ পিএম
বায়ুর মানদণ্ডে সারা বিশ্বের মধ্যে ঢাকা খুব বাজে অবস্থানে আছে। বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে কখনো প্রথম, কখনো দ্বিতীয় অবস্থানে থাকছে ঢাকা। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাজধানীর সবচেয়ে দূষিত এলাকার তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে আব্দুল্লাহপুর। তার পরের দুটি স্থানে রয়েছে যথাক্রমে মিরপুর ও শাহবাগ।
দেশের অন্যতম বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) পরিচালক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদারের বরাত দিয়ে করা এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে অনলাইন পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন।
আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদারের বরাতে প্রতিবেদনটিতে বলা হযেছে, জরিপে ঢাকার ১০টি এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা উঠে এসেছে। এরমধ্যে সবচেয়ে দূষিত এলাকা আব্দুল্লাহপুর। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে মিরপুর। শাহবাগের অবস্থান তৃতীয়তে।
তিনি আরও বলেন, “করোনাভাইরাসের কারণে অনেক উন্নয়ন কাজ থেমে ছিল। সেসব আবার পুরোদমে শুরু হয়েছে। পাশাপাশি যেসব গাড়ি এত দিন বাড়িতে পড়েছিল সেগুলো কোনও সার্ভিসিং ছাড়াই রাস্তায় নেমেছে। এতেও দূষণ বেড়েছে।”
এদিকে, ক্যাপসের জরিপে জানা যায়, বিদায়ী ২০২১ সালে বায়ুমান সূচক (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা ছিল ১৫৯.১, যা কি-না ২০২০ সালের তুলনায় ৯.৮% বেশি।
জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বায়ুমান সূচকের (একিউআই) গড় মাত্রা ছিল ২৩৫.১। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়ায় ২৬১.৬, যা দুই বছরের হিসাবে ১১.৩% বেশি। একইভাব ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ২২০.৫। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২৩১.৪।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) নির্বাহী সহ-সভাপতি আব্দুল মতিন জানান, মূলত ৪টি কারণে বায়ু দূষণ বাড়ছে—প্রথমত, উন্নয়ন কাজ। দ্বিতীয়ত—ব্যক্তিগত নির্মাণকাজ। তিন নম্বরে আছে ইটভাটা ও চার নম্বরে শহর পরিষ্কার করতে গিয়ে ধুলো ওড়ানো।
তিনি আরও জানান, করোনাভাইরাসের পর সরকারি উন্নয়ন কাজগুলো দ্রুতগতিতে চলছে। আমরা উন্নয়নবিরোধী নই। কিন্তু এ কাজ করতে গিয়ে যাতে দূষণ না ঘটে সে ব্যবস্থা যদি উন্নত বিশ্বের দেশগুলো নিতে পারে আমরা কেন পারবো না? ব্যক্তিগত কনস্ট্রাকশন কাজগুলো করার ক্ষেত্রেও দরকার সচেতনতা।
আব্দুল মতিন জানান, ইটভাটাগুলোতে নিম্নমানের কয়লা ব্যবহার বন্ধ করা জরুরি। কয়লায় এত সালফার থাকে যে, তা বাতাসে মিশে ব্যাপক হারে বায়ুদূষণ ঘটাচ্ছে। এদিকে, রাস্তাঘাট ঝাড়ু দেওয়া, দোকানপাট পরিষ্কারে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হলেও ধুলার সমাধান করা সম্ভব।