প্রাধিকার তালিকায় না থেকেও গাড়ি ব্যবহার করছে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকতারা।এছাড়া পরিবারের সদস্যরাও ব্যবহার করছে সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি। একটি জাতীয় দৈনিকের অনুসন্ধানে উঠে আসা এই অনিয়মের বিপরীতে কোন তদন্ত করার পরিকল্পনা নেই সিটি কর্পোরেশনের। তবে অনুসন্ধানকারী প্রতিবেদককে শীঘ্রই উকিল নোটিশ পাঠানো হবে বলে নিশ্চিত করেছে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা।
যা ছিল প্রতিবেদনে
প্রাধিকার তালিকায় না থেকেও ৮৬ জন কর্মকর্তা ব্যবহার করছেন কর্পোরেশনের গাড়ি। তার মধ্যে দক্ষিণ সিটির ৪৫ জন কর্মকর্তা আর উত্তর সিটির ৪১ জন কর্মকর্তা। একাধিক কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যরাও করপোরেশনের গাড়ি ব্যবহার করছেন। শুধু গাড়ি নয় গাড়ির পাশাপাশি করপোরেশনের অ্যাম্বুলেন্সও ব্যক্তিগত চলাচলে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ তথ্য প্রকাশের পর তদন্ত কমিটি গঠনের কথা থাকলেও পুরোপুরি উদাসীনতা দেখাচ্ছে দুই সিটি করপোরেশন। শুধু উদাসীনতা নয় উদাসীনতার পাশাপাশি উকিল নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
এ বিষয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, তদন্ত কমিটির বিষয় আসতাছে কেনো? কারন সংবাদে তো অনেক অবান্তর, অমূলক ও ভিত্তিহীন তথ্যের অবতারণা করা হয়েছে। আমরা যে বিষয়ে রিপোর্ট হয়েছে সে বিষয়ের সংশ্লিষ্ট পত্রিকা ও রিপোর্টারের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠাবো।
তবে উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে এখনো কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়নি বলে জানানো হয়। এবিষয় উত্তর সিটি করপোরেশনের তথ্য কর্মকর্তা পিয়াল হাসান দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় নি। পরবর্তী সিদ্ধান্ত প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।
উকিল নোটিশ পায়নি প্রতিবেদক
উকিল নোটিশ এখনো পায় নেই বলে জানান দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলোর সাংবাদিক মোহাম্মদ মোস্তফা। তিনি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, আমি এখনো কোন ধরনের উকিল নোটিশ পাই নেই। না পাওয়ার আগে কোন মন্তব্য করতে পারি না৷ তবে প্রত্যেকটা মানুষের অধিকার আছে কোথা বলার। যদি তারা মনে করেন যে আমার সংবাদে কোন ভুল আছে তবে উকিল নোটিশ পাঠাতেই পারে। উকিল নোটিশ পাওয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিবো।