বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ব্যক্তব্য নিয়ে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, “একটি পার্টির খুব সিনিয়র এক নেতা বলা শুরু করেছেন, তাদের নেত্রী নাকি এক নম্বর মুক্তিযোদ্ধা। এর চেয়ে হাস্যকর...। যাকে তার স্বামী পরিত্যক্ত করে বলেছিলেন, পাকিস্তানের ওখানে কী করছ...। আর এখন সে নাকি বড় মুক্তিযোদ্ধা। আর না বলি।”
শনিবার বিকেলে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, মুজিব বর্ষ স্মারকগ্রন্থ ‘অনশ্বর পিতা’র মোড়ক উন্মোচন এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এসব বলেন।।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সেই কালরাতের প্রথম প্রহরে পুলিশ প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজারবাগে পুলিশ কনস্টেবল প্রথম গুলি ছুড়েছিল। কে তাকে উজ্জীবিত করেছিল? অথচ একটি দলের নেতারা বলেন, মানুষ নাকি দিগ্ভ্রান্ত হয়েছিল। তাহলে রাজারবাগের পুলিশ, সারা দেশের পুলিশ কীভাবে বুঝেছিল? আসলে তারা মিথ্যা কথা বলতে বলতে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যায়, যেন সেটাই সত্য। জাতির পিতার ৭ই মার্চের ভাষণের পর আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণার তেমন কোনো প্রয়োজন ছিল না। ৭ই মার্চের ভাষণই পুলিশকে উজ্জীবিত করেছিল।
পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান এবং পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।
এ ছাড়া অতিরিক্ত আইজিপি( প্রশাসন) মইনুর রহমান চৌধুরী, র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) কৃষ্ণপদ রায় এবং গুলশানের উপকমিশনার ও পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বক্তব্য দেন।