বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেও ‘আয়নাঘর’-এর ভিকটিম বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শোনা যাচ্ছে অনেকে এখনও ‘আয়নাঘর’ এ আটক আছেন আর সৌভাগ্যক্রমে যারা বেরিয়েছেন তাদের অনেকে বিদেশে চলে গেছেন বলেও তিনি জানান।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের শিকার’ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজে বলেছেন যে ‘আমিও একজন সেখানকার ভিকটিম।’ ওয়ান–ইলেভেনে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডের নামে টর্চার করা হয়েছিল। এতে তাঁর কোমর ভেঙে গিয়েছিল।”
বিএনপির ছয় শতাধিক মানুষ গুম হয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, “ভোলায় নুর আলম ও আবদুর রহিম শহীদ হয়েছেন। এটা গত এক যুগ ধরে চলেছে। আজকে আমার মনে হয়, এ দেশে গণতন্ত্র চায়—এ ধরনের কোনো মানুষই আর নিরাপদ নয়।”
তিনি বলেন, “সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর টর্চার সেল আছে, যা নেত্র নিউজের খবর-এ বেরিয়েছে। তারা সেটির নাম দিয়েছে আয়নাঘর।”
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা সরকার পরিবর্তন করতে পারলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন; তাদের পরিবারকে পুনর্বাসনের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল নামের একটি সংগঠন ‘পুলিশ ও র্যাব কর্তৃক গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের শিকার’ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা দিতে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এতে ভোলা, ফেনী, চট্টগ্রাম ও নেত্রকোনায় গুম–খুনের’ শিকার ১৪ জন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পারভেজ রেজা, যুবদলের সহসভাপতি মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া বক্তব্য দেন।