জুন ১৩, ২০২৩, ০৬:৪৭ পিএম
ভাতা বাড়ানো, কয়েক মাসের বকেয়া ভাতা পরিশোধ এবং প্রাপ্য ভাতা নিয়মিত দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালরের অধীনে পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট চিকিৎসকরা। এদিকে পরিস্থিতি সমাধানে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আন্দোলনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, “এখন ঝামেলা শেষ হয়ে গেছে, আমরা একটা প্রেস রিলিজ পাঠিয়ে আপনাদের বিস্তারিত বলে দেব। তারা (আন্দোলনকারী চিকিৎসক) বৃত্তির পরিমাণটা বাড়াতে চায়। আমরা সে ব্যাপারে কথা বলে, সরকার যদি দেয়… যত তাড়াতাড়ি দেবে আমরা তত তাড়াতাড়ি তাদের সেটা দিয়ে দেব।”
তিনি আরও বলেন, “যে কোনো আন্দোলনের একটা পদ্ধতি আছে। আমাকে দরখাস্ত দেবে যে, ‘স্যার, এতদিনের মধ্যে যদি না হয়, তাহলে আমরা কিন্তু আন্দোলনে যাব’। আমাকে কিছু না বলে আজকে তারা বটতলা এসে জড়ো হয়েছে।
প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে গেলে কোর্স আউট হওয়ার ঝুঁকির কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভিসি বলেন, আজ একদিন তারা কর্মবিরতি দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম আছে, টানা তিনদিন কেউ কর্মবিরতি দিলে তাদের কোর্স আউট হয়ে যাওয়ার ঝুাঁকি আছে। এটা যেন তারা মাথায় রাখে। আমাদের আইনে আছে এটা।
তিনি আরও বলেন, “এর আগেই আমি কিন্তু মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের (নন রেসিডেন্টদের) ভাতা গত ঈদের আগে আমাকে দেওয়া হয়নি। আমি মানবিক কারণে আমার ফান্ড থেকে তাদের ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। নয় মাস তাদের ভাতা বাকি আছে, সেটা আমি চেয়েছি, আশা করছি এই বাজেটে পেয়ে যাব।”
চিকিৎসকদের দাবির বিষয়ে ৭ দিন সময় চাওয়ার কথা জানিয়ে ভিসি অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলাপ করে বলেছি আর্থিক ভাতার বিষয়টি সরকারের ওপর নির্ভর করে। আগামী সাতদিনের মধ্যে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে অর্থ বরাদ্দ পেলে পোস্টগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের মধ্যে বণ্টন করে দেয়া হবে।
এর আগে দুপুর থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন পাঁচ শতাধিক চিকিৎসক। সে সময় হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরাও সেখানে জড়ো হন। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তারা।
তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ে গেলে তিনি কথা না বলেই দরজা বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা।
তারা জানান, তাদের দাবি সব ধরনের প্রাইভেট পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনিং চিকিৎসকের ভাতা ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করতে হবে, এই ভাতা নিয়মিত প্রতি মাসে দিতে হবে এবং যাদের ভাতা বকেয়া আছে তাদের ভাতা পরিশোধ করে দিতে হবে।