মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ফেরিডুবির ঘটনায় তৃতীয় দিনের উদ্ধার কাজ চলমান রেখেছে বিআইডব্লিউটিএ (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ)। সকাল আটটা থেকে বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের উদ্ধারকারী দল এই অভিযান শুরু করে। ডুবে যাওয়া পণ্যবাহী যানবাহনগুলোকে উদ্ধারে এখন কাজ চলছে। তবে ডুবে যাওয়া ফেরি আমানত শাহ উদ্ধারে কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
কাত হয়ে ডুবে যাওয়া ফেরির ভেতর থেকে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা দিয়ে যানবাহন উদ্ধারের তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এতে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা অংশ নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত একটি মাত্র ট্রাক উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
ডুবে যাওয়া ফেরিটির ওজন প্রায় ৬০০ টন। আর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজার সক্ষমতা রয়েছে ৬০ টনের। কাজেই এই উদ্ধারকারী জাহাজ দিয়ে ফেরিটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে না বলে জানান বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক (উদ্ধার) মো. ফজলুর রহমান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ’কাত হয়ে ডুবে যাওয়ায় একটি যানবাহনের ওপর আরেকেটি যানবাহন পড়ে রয়েছে। এতে ফেরির ভেতর থেকে যানবাহনগুলোকে উদ্ধারে প্রচণ্ড বেগ পেতে হচ্ছে। দুর্ঘটনার প্রথম দিন চারটি, গতকাল পাঁচটিসহ মোট নয়টি পণ্যবাহী যানবাহন উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি পাঁচটি যান উদ্ধারে অভিযান চলছে। এখনো ফেরিতে চারটি ও ফেরি থেকে ভাটিতে আরেকটি যান রয়েছে’।
তিনি আরো বলেন, ’যেহেতু উদ্ধারকারী জাহাজের সক্ষমতা ফেরিটির ওজনের চাইতেও কম কাজেই এই উদ্ধারকারী জাহাজ দিয়ে ফেরিটি উদ্ধার করা অসম্ভব। এ কারণে শক্তিশালী উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ আজকে সন্ধ্যার মধ্যে পাটুরিয়া আসার কথা রয়েছে’।
উল্লেখ্য গত বুধবার সকাল নয়টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ঘাট থেকে ১৭টি পণ্যবাহী গাড়ি ও কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে আমানত শাহ ফেরিটি ছেড়ে আসে। মাঝপথে আসার পরপরই ফেরির পেছনের বাঁ দিক থেকে পানি ওঠতে থাকে। সকাল পৌনে ১০টার দিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের পন্টুনে ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেরি থেকে তিনটি পণ্যবাহী যান দ্রুত নেমে যায়। এ সময় আরেকটি পণ্যবাহী গাড়ি ফেরি থেকে নামার সময় ফেরিটির এক পাশ কাত হয়ে যায়। এ সময় ওই গাড়িটি নদীতে পড়ে। এর পরপরই অন্যান্য যানবাহন নিয়ে পন্টুনের কাছে পদ্মা নদীতে ফেরিটি ডুবে যায়।