তেজগাঁও থানায় করা মামলাতেও জামিন পেলেন সাংবাদিক শামসুজ্জামান

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ৯, ২০২৩, ১০:২৭ পিএম

তেজগাঁও থানায় করা মামলাতেও জামিন পেলেন সাংবাদিক শামসুজ্জামান

রাজধানীর তেজগাঁও থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাতেও জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান। আজ রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ জামিন মঞ্জুর করে। শামসুজ্জামানের আইনজীবী প্রশান্ত কর্মকার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে ৩ এপ্রিল রমনা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায়ও জামিনে মুক্তি পান শামসুজ্জামান।

এদিন শামসুজ্জামানের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী ও প্রশান্ত কর্মকার। শামসুজ্জামানের পক্ষে আদালতে আরও উপস্থিত ছিলেন আশরাফ-উল-আলম, এম এ জলিল, বাহাউদ্দিন আল ইমরান, এ কে এম রাব্বি ও মাহমুদুল ইসলাম।

এর আগে গত ৩০ মার্চ সিএমএম আদালতে আনা হয় শামসুজ্জামানকে। পরে রমনা থানার পুলিশ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। সাংবাদিক শামসুজ্জামানের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। ওই দিন উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

শামসুজ্জামানকে ওই দিন আদালত থেকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। পরদিন শুক্রবার সেখান থেকে তাঁকে গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। এর পরদিন শনিবার আবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।

প্রসঙ্গত, ২৯ মার্চ ভোর চারটার দিকে সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের আমবাগান এলাকায় সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বাসায় যান ১৪ থেকে ১৫ জন। নিজেদের পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্য পরিচয়ে শামসুজ্জামানের থাকার কক্ষ তল্লাশি করে তাঁর ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুটি মুঠোফোন ও একটি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়। পরে শামসুজ্জামানকেও নিয়ে যায় তাঁরা।

গত ২৬ মার্চ প্রথম আলোর অনলাইনে একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘ফটোকার্ড’ প্রকাশ করা হয়। সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ছবিটি ছিল একটি শিশুর। শিশুটির নাম সবুজ। উদ্ধৃতিতে লেখা ছিল: ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কী করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগবো।’ এ নিয়ে তেজগাঁও ও রমনা থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়। 

Link copied!