দক্ষিণ সিটির ১৬ স্থাপনাকে ৪ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই ২৭, ২০২৩, ০৮:৪৩ পিএম

দক্ষিণ সিটির ১৬ স্থাপনাকে ৪ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা

এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক) পরিচালিত ১০ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১৬ স্থাপনাকে ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) করপোরেশনের ধানমন্ডি ১৬, দক্ষিণ বনশ্রী, মুগদা, নব লকুমার দত্ত রোড, কামরাঙ্গীরচরের তারা মসজিদ, আগামাসি লেন, নবাবপুর, বিবির বাগিচা, পশ্চিম নন্দীপাড়া, কদম আলী গলি, ঝিলপাড়, দক্ষিণ মান্ডা ও নড়াইবাগ এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. মনজুরুল ১৫ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ধানমন্ডি ১৬ এলাকায় ৫০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ধানমন্ডি ১৬ নম্বর রোডের ৪৩ নম্বর হোল্ডিংস্থিত ‍‍`নাহার গ্রীন সামিট‍‍` ও ৩৭ নম্বর হোল্ডিংস্থিত ‍‍`সুবাস্তু ডেনিম প্লাজা‍‍` নামক ২টি বাড়ি এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় বাড়ি ২টির ম্যানেজার যথাক্রমে মো. মঈনুদ্দিন ও আব্দুস সালামকে ১ লক্ষ টাকা করে ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ ও জরিমানা আদায় করেন।  

দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মুগদা এলাকায় ৫৪টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং একটি ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

একই সাথে দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর-আল-নাসিফ ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় ৫৭টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।

তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান কামরাঙ্গীরচরের তারা মসজিদের লাল গুদাম এলাকায় ১০২টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ৪টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৪ মামলায় ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।    

এছাড়াও তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী আকন্দ মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দিন নবকুমার দত্ত রোডে ৫২টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ২টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।  

চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা ৩৩ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের আগামাসি লেন ও নবাবপুর এলাকায় ৮৪টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা  এলাকায় ৪১টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

ছয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরিয়ার হক ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নন্দীপাড়া এলাকায়  ২০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

সাত নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাওসীফ রহমান ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের কদমআলী গলি, ঝিলপাড় ও দক্ষিণ মান্ডা এলাকায় ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

আট নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের নড়াইপাড়া এলাকায় ৪৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।  

আজকের অভিযানে সর্বমোট ৫৪১টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১৬টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৬ মামলায় সর্বমোট ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

Link copied!