নভেম্বর ১৭, ২০২১, ০৯:৩০ পিএম
পুরান ঢাকার আগা নওয়াব দেউড়ী রোড়ের জর্দা ব্যবসায়ী কাউছ মিয়া আবারো দেশের সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২০-২০২১ করবর্ষে ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে সেরা করদাতা তিনি। গুলশান-বনানী কিংবা মতিঝিলের আকাশছোঁয়া দালানমালিক ব্যবসায়ীদের পেছনে ফেলে পুরান ঢাকার ঘুপচি গলিতে বসে ব্যবসা করে আবারও সেরা করদাতা হয়েছে তিনি।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) জাতীয় ট্যাক্সকার্ড নীতিমালা, ২০১০ (সংশোধিত) অনুযায়ী ২০২০-২০২১ করবর্ষের জন্য সেরা করদাতা হিসেবে ১৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে এনবিআর। সেখানেই প্রথম অবস্থান দখল করেন কাউছ মিয়া।
জনপ্রিয় জর্দা হাকিমপুরীর স্বত্বাধিকারী কাউছ মিয়া ১৯৯৮ সাল থেকেই দেশের সর্বোচ্চ করদাতার একজন।
গুলশান-বনানী কিংবা মতিঝিলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেম্বার না থাকলেও পুরান ঢাকার আগা নওয়াব দেউড়ী রোডের হাকিমপুরী জর্দার কারখানার একটি কক্ষই কাউছ মিয়ার ‘চেম্বার’। এখানে বসেই গুলশান, বনানী, মতিঝিলের ডাকসাইটে ব্যবসায়ীদের পেছনে ফেলে পুরান ঢাকার ঘুপচি গলির এই ব্যবসায়ীই প্রতিবছর সর্বোচ্চ করদাতা হন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআরে) একাধিক কর্মকর্তা জানান, অন্য শ্রেণির সর্বোচ্চ করদাতারা প্রতিবছর কর হিসেবে যত টাকা দেন, তারা কাউছ মিয়ার ধারেকাছে নেই।
কাউছ মিয়া প্রথম আয়কর দেন ১৯৫৮ সালে। ২০১৯ সালে এনবিআরের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ‘আগে টাকাপয়সা এখানে-সেখানে রাখতাম। এতে নানা ঝামেলা ও ঝুঁকি থাকত। ১৯৫৮ সালে প্রথম কর দিয়ে “ফ্রি” হয়ে গেলাম। এরপর সব টাকাপয়সা ব্যাংকে রাখতে শুরু করলাম। হিসাবনিকাশ পরিষ্কার করে রাখলাম।’
১৯৬৭ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ১ নম্বর করদাতা হয়েছিলেন কাউছ মিয়া।