দোকানের গুদামে মিললো এক হাজার লিটার সয়াবিন তেল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ৯, ২০২২, ০২:৫০ এএম

দোকানের গুদামে মিললো এক হাজার লিটার সয়াবিন তেল

সারাদেশে সয়াবিন তেলের তীব্র সংকট নিয়ে পার হলো রোজার ঈদ। বাজার থেকে সয়াবিন তেল উধাও। কোথাও তেলের দেখা মিললেও চড়া দাম দিয়ে কিনছেন ক্রেতারা। প্রাত্যহিক রান্নায় এরইমধ্যে সয়াবিন তেল বাদ দিয়ে সরিষার তেল ব্যবহার করছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে সারাদেশে চলছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান। আজ চট্টগ্রামে এক দোকানের গুদামে পাওয়া গেছে ১ হাজার লিটার সয়াবিন তেল।

আজ রবিবার বিকেলে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযানে মজুত করা এসব তেল বের হয়ে আসে। পরে ‘অবৈধভাবে’ গুদামে তেল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঘি রাখার দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় দোকানের মালিক আবদুল হাকিমকে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজউল্লাহ বলেন, “বাজারে ভোজ্যতেলের একটা ক্রাইসিস আছে। আমরা সংকটের কারণ অনুসন্ধানে বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার ও কর্ণফুলী মার্কেটে অভিযান চালাই। কর্ণফুলী মার্কেটে খাজা স্টোরে অভিযানে দেখতে পাই, সামনে কয়েকটি সয়াবিনের বোতল রাখা হয়েছে, খুবই অল্প পরিমাণে।”

“কিন্তু এর নিচে পাটাতন দিয়ে আড়াল করে গোপন কুঠুরি বানিয়ে রাখা হয়েছে আরও তেলের বোতল। ফ্রেশ, রূপাচাঁদা, পুষ্টিসহ বিভিন্ন কোম্পানির সয়াবিন তেলের বোতল আমরা সেখানে পাই। এক হাজার ৫০ লিটার তেল আমরা সেখান থেকে জব্দ করেছি। এসব তেলের উৎপাদনের তারিখ গত এপ্রিলের। মজুদ রেখে পরে বাড়তি দামে বিক্রির জন্য সেগুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। মালিক প্রথমে নিজেকে কয়েকটি কোম্পানির ডিলার হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল। কিন্তু পরে জানতে পারি এটি সত্য নয়।”

ফয়েজউল্লাহ আরও জানান, অবৈধভাবে তেল মজুদের অপরাধে খাজা স্টোরের মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জব্দ করা সয়াবিন তেলগুলো ভাউচার দেখে আগের দামে খুচরা দোকানে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

তবে আবদুল হাকিম নিজেকে পাইকারি বিক্রেতা বলে দাবি করেছেন। আবদুল হাকিম বলেন, তিনি শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও দোকানে তেল সরবরাহ করেন। এ কারণে তাঁর গুদামে তেল ছিল। আর রমজান মাসজুড়ে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে তিনি তেল কিনেছেন। কিছু বিক্রি হয়েছে। কিছু বিক্রি হয়নি। অবিক্রীত তেলই গুদামে ছিল।

তবে অভিযান চলাকালে কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ করেন, বোতলের গায়ের দামের চেয়ে বাড়তি টাকা নিয়েছে খাজা স্টোর। ফারুক উদ্দিন নামের এক ক্রেতা বলেন, অভিযান শুরু হওয়ার আগে খাজা স্টোরে তিন লিটার তেলের জন্য যান তিনি। বোতলে দাম লেখা ছিল ৪৬০ টাকা। কিন্তু দোকানি ৫৯০ টাকা চেয়েছেন। এর মধ্যেই ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর চলে আসে।

Link copied!