রাজধানীতে তৃতীয় পর্বে আজ (১ মার্চ) থেকে আরও ১৩টি পরিবহন কোম্পানি ই-টিকিটিং পদ্ধতিতে যাত্রীসেবা দেয়া শুরু করলো। সদরঘাট, সাভার, গাজীপুর, যাত্রাবাড়ী, মদনপুর, আবদুল্লাহপুর ও নতুনবাজার থেকে বিভিন্ন রুটে ই-টিকিটের মাধ্যমে ভাড়া দিতে হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কিলোমিটার অনুযায়ী ভাড়ার নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে।
বুধবার থেকে সাভার, গাজীপুর, যাত্রাবাড়ী, মদনপুর, আবদুল্লাহপুর ও নতুনবাজার থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ১৩টি প্রতিষ্ঠানের ৯৪৭টি বাসে ই-টিকিটিং সেবা পাবেন যাত্রীরা। এ নিয়ে ই-টিকিটিংয়ের আওতায় এল ৫৯টি প্রতিষ্ঠানের তিন হাজারের বেশি গাড়ি।
যে ১৩টি প্রতিষ্ঠান ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসছে সেগুলো হলো- আকাশ এন্টারপ্রাইজ (সদরঘাট-ধউর); ভিক্টর ক্লাসিক বাস মালিক সমিতি (সদরঘাট-ধউর); ৬ নম্বর মতিঝিল-বনানী ট্রান্সপোর্ট কোম্পানী(প্রা.) লি. (কমলাপুর-নতুনবাজার); গ্রীন অনাবিল পরিবহন লি. (সাইনবোর্ড-গাজীপুর); গ্রেট তুরাগ ট্রান্সপোর্ট কোং লি. (যাত্রাবাড়ি-টঙ্গি স্টেশন রোড); অনাবিল সুপার লি. (সাইনবোর্ড-গাজীপুর); রাইদা এন্টারপ্রাইজ লি. (পোস্তগোলা-ধউর); আসমানী পরিবহন লি. (মদনপুর-আব্দুল্লাহপুর); সময় ট্রান্সপোর্ট লি. (গুলিস্তান-কাঁচপুর); বৈশাখী পরিবহন লি. (সাভার-নতুনবাজার); রইছ পরিবহন লি. (সাভার-নতুনবাজার); এয়ারপোর্ট-বঙ্গবন্ধু এভিনিউ মিনিবাস মালিক সমিতি (কদমতলী-আব্দুল্লাহপুর); মনজিল এক্সপ্রেস লি. (কাঁচপুর-ধউর)
এদিকে নতুন করে ১৩টি পরিবহনে ই-টিকিটিং চালু হলেও যাত্রীদের অভিযোগ, এসব উদ্যোগেও বন্ধ হচ্ছে না গণপরিবহনে নৈরাজ্য। ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়ের সাথে হরহামেশা যাত্রী হয়রানি চলছেই। অন্যদিকে মালিকরা বলছেন এই উদ্যোগের ফলাফল ‘যে লাউ সেই কদু’-এর মতো।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ জানান, তাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। যাত্রীদের কাছেও তিনি অনুরোধ করেন তারা যেন টিকেট ছাড়া ভাড়া না দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা কাজ করছি। আমরা আরও ১০টা লোক নিয়োগ দিচ্ছি। নিজেরা মাঠে যাচ্ছি। আমরা তো বসে নেই। আমরা চাই যাত্রীরাও যেন টিকেট ছাড়া ভাড়া না দেন।’