এপ্রিল ১৮, ২০২২, ০৮:৩১ এএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে মারধর ও হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন কিছুদিন আগে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল। এবার সেই ঘটনায় মামলা করলেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। বাদী শিক্ষকের নাম আতিকুর রহমান। তিনি থানা ও আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেছেন।
আতিকুর রহমান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক। গত বুধবার ভাটারা থানায় প্রথম মামলাটি করেন তিনি। পরে শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালতে (সিএমএম) নর্থ সাউথের প্রক্টর আবু নোমান এম আতাহার আলী ও পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
দুই মামলায় যে পাঁচ শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে তাঁরা হলেন লিমা আক্তার, শায়েখ আফসার ফাহিম, দীপঙ্কর দাশ, হাইমিন আল মঈদ ও তানজিব ইসলাম মিথিল।
শিক্ষক আতিকুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘থানা আমার অভিযোগের কিছু বাদ দিয়েছে। তাই আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছি।’ তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘লিমা আক্তার আমার কাছে পরীক্ষার প্রশ্ন চেয়েছিল। আমি রাজি হইনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হেনস্তা করেছে।’
শিক্ষকের অভিযোগ প্রসঙ্গে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘ওই শিক্ষক অভিযোগপত্র পড়ে স্বাক্ষর করেছেন। আমরা মামলা তদন্ত করে দেখছি। প্রকৃত ঘটনা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।’
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত রবিবার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি কফিশপে ডেকে নিয়ে শিক্ষক আতিকুরকে মারধর করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। গত সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। তাতে দেখা যায়, ওই শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করছেন ও হুমকি দিচ্ছেন কয়েকজন তরুণ।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার দুপুরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারসংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এতে অংশ নেন দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী। তাঁদের দাবি, একটি ভিত্তিহীন অভিযোগে তাঁদের শিক্ষককে মারধর করা হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নর্থ সাউথের এক ছাত্রী পড়াশোনার বিষয়ে শিক্ষক আতিকুরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতেন। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী তাঁকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এক কফি হাউসে ডাকেন। সেখানে ছাত্রীর বন্ধুরা দল বেঁধে মারধর করেন তাঁকে।