প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফরের কোনও অর্জন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কৃষক দলের নতুন কমিটির সভাপতি হাসান জাফির তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তৃতা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাববে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অর্জন তার একটাই, তা হলো— আরও মিথ্যাচার কীভাবে করা যায়। তার গোটা বক্তৃতার মধ্যে দেশে যে গণতন্ত্র নেই, দেশে যে মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে, দেশে যে নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ ধবংস করে দেওয়া হয়েছে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য যেসব উপাদান দরকার তার প্রতিটিকে ধ্বংস করে দিয়ে সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে— এই অবস্থা থেকে কীভাবে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করবেন সেই সম্পর্কে তিনি কোনো কিছু উল্লেখ করেননি।’
‘এখানে আমি কোনো আউটকাম পাইনি। এমনকি রোহিঙ্গা সমস্যারও তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কোনো সমাধান নিয়ে আসতে পারেননি। আমরা মনে করি যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কোনো ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেনি। এখন পর্যন্ত শুধু রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কোনো দেশ সফর করেননি। বিশেষ করে যারা স্টেকহোল্ডার তাদের কাছে এখন পর্যন্ত যেতে পারেননি এবং এই সমস্যার কোনো সমাধান করতে পারেননি,’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোহিঙ্গা ইস্যু জিইয়ে রেখে সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহমর্মিতা নিচ্ছে কি না— প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনি সঠিকভাবেই বলেছেন। এই ইস্যুটিকে জিইয়ে রেখে তারা আন্তর্জাতিক সুবিধা গ্রহণ করতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় প্রত্যাশা করি যে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য জনগণের যে অধিকার, তার ভোটের যে অধিকার, তার বাকস্বাধীনতার যে অধিকার, তার বেঁচে থাকবার যে অধিকার— তা নিশ্চিত করবার জন্য তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।‘
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করীম শাহিন, কৃষক দলের নতুন কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, সহসভাপতি গৌতম চক্রবর্তী, যুগ্ম সম্পাদক টিএস আইয়ুব, মোশাররফ হোসেন, দফতর সম্পাদক শফিকুল ইসলামসহ অন্যরা।