নির্বাচন একটি বড় কর্মযজ্ঞ। এটা শুধু নির্বাচন কমিশনের একার মাধ্যমেই ঘটেনা। তাই আমরা যথসম্ভব সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। নতুন কৌশলের মাধ্যমে নির্বাচনকে সকলের সাথে গ্রহণযোগ্য করা চেষ্টা হবে। রবিবার প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে শপথ গ্রহণের পর গণমাধ্যমকে এ কথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। তিনি বলেন, এই মুহুর্তে এই বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। বাকি কমিশনারদের সাথে আলাপ আলোচনা করে এই বিষয়ে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নিব। সব রাজনৈতিক দলের অংশিদারিত্বপূর্ণ নির্বাচন করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আমি আশাবাদী সব দলের অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারব। সব কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামীকাল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
প্রতি নির্বাচনই চ্যালেঞ্জ
তিনি বলেন, প্রতিটি নির্বাচনই এক একটি চ্যলেঞ্জ। সুষ্ঠ নির্বাচন শুধু নির্বাচন কমিশনারদের ওপর নির্ভর করে না। শুধু ইসি চাইলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। সবার সহযোগিতা লাগবে। সর্বোচ্চ ভালোটা দেওয়ার চেষ্টা থাকবে আমাদের। এছাড়া দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা আহ্বান করেন এই নতুন সিইসি।
সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে অন্য চারজন নির্বাচন কমিশনারও উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সদ্য নির্বাচিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারগণ শপথ নেন। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান। বিকেল সাড়ে ৪টার পরে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রথমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল ও এরপর একে একে অন্যান্য চারজন নির্বাচন কমিশনার শপথ নেন।
অন্য চার কমিশনারের মধ্যে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান।
এদিকে এবারই প্রথম বারের মতো আইন অনুযায়ী গঠিত হয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনে গঠিত সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ১০ নামের মধ্যে থেকে রাষ্ট্রপতি ১ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ৪ জন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন। শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এরআগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। তারা গত ২২ ফেব্রুয়ারিতে সপ্তম সভায় ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে।
নতুন নির্বাচন কমিশন পরবর্তী পাঁচ বছর দেশের জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের সব নির্বাচন পরিচালনা করে। এরাআগের কে এম নূরুল হুদা’র নেতৃত্বাধীন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি।