নিয়োগপরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টন নামের ওই ব্যক্তি ৩১তম বিসিএসের শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা।
রবিবার রাতে ঢাকার সেগুনবাগিচা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগ।
তেজগাঁও (ডিবি) বিভাগের এডিসি শাহাদাত হোসেন সোমা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এর আগে এ ঘটনায় মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবাই জিজ্ঞাসাবাদে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় মিল্টনের জড়িত থাকার কথা জানিয়েছেন। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে মিল্টনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ১৩ মে প্রশ্ন ‘ফাঁসের’ ঘটনার পর কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিন মাউশির ৫১৩টি পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষা চলার সময়েই ইডেন কলেজ কেন্দ্র থেকে থেকে চাকরি প্রার্থী সুমন জোয়ার্দার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার প্রবেশপত্রের উল্টো পিঠে ৭০টি এমসিকিউ (নৈর্ব্যত্তিক) প্রশ্নের উত্তর লেখা ছিল।
এরপর সুমনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
পরে প্রার্থী সুমন এবং শিক্ষক সাইফুলের দেওয়া তথ্যে অভিযানে নেমে গত ১৪ মে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের প্রভাষক রাশেদুল, মাউশির উচ্চমান সহকারী আহসান হাবীব ও অফিস সহকারী নওশাদকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই ঘটনার এক সপ্তাহ পরে সেই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে মাউশি।