এপ্রিল ২০, ২০২২, ১২:৫৭ পিএম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, “পরিস্থিতি যাতে আর ঘোলা না হয়, সেজন্য আমি বলেছিলাম আজ দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করে পরিস্থিতি দেখে তারপর দোকান খুলতে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি অনুকূলে, যদি এরকম থাকে আমরা শীঘ্রই মার্কেট খুলে দেবো।”
বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমি ব্যবসায়ীদের বলেছি আজ দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। সাত কলেজের ছাত্ররা নাকি ঢাকা অচল করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। নুরুল হক নুররাও ওদের সঙ্গে শামিল। ইডেনের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামার কথা বলেছে; বুঝে হোক আর না বুঝে হোক।”
সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়ে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলায় আহত হন অন্তত ১২ জন সাংবাদিক। হামলা থেকে রেহাই পায়নি অ্যাম্বুলেন্সও।
সংঘর্ষের কারণে গতকাল প্রায় পুরো দিন রাজধানীর ব্যস্ত সড়ক মিরপুর রোডের সায়েন্স ল্যাব থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ ছিল। এর প্রভাবে আশপাশের সড়ক কার্যত অচল হয়ে পড়ে। নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট এলাকার বিপণিবিতানগুলো খোলা সম্ভব হয়নি।
প্রথম দফায় গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টা সংঘর্ষ হয়। দ্বিতীয় দফায় গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ইফতারের পর দুই পক্ষই আবার রাস্তায় নামে। রাত সাড়ে ১০টার পর ছাত্ররা এবং দোকানমালিক ও কর্মীরা সড়ক থেকে সরে যান।