প্রায় পাঁচ যুগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা দেখলো ঢাকাবাসী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ১৬, ২০২৩, ০৪:১২ পিএম

প্রায় পাঁচ যুগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা দেখলো ঢাকাবাসী

দেশে মাঝারি ধরণের তাপপ্রবাহ চলমান রয়েছে। প্রচণ্ড গরমে পুড়ছে সারা দেশ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়ার পূর্বাভাসের খবরে বলা হয়, রবিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শনিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কোনো এলাকার পাশাপাশি দুটি স্টেশনে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর বেশি থাকলে ওই এলাকায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৪০-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে তীব্র তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে।

এই হিসেবে রবিবার দুপুরে রাজধানীর তাপমাত্রার (৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অবস্থান ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ। আর এর মধ্য দিয়েই রাজধানী ঢাকাবাসী ৫৮ বছরে সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন প্রত্যক্ষ করলো। এর আগে ১৯৬৫ সালে রাজধানীবাসী সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন পার করেছিল। তখন ঢাকার তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ছিল পাঁচ দশকে সর্বোচ্চ। তার আগে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল। ওই দিন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৬০ সালে ঢাকায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠেছিল। 

এদিকে,  আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। পরবর্তী তিন দিনে আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

রবিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী তিন দিনের মধ্যে আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলেও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়।

এদিকে, প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনগণকে স্বস্তির খবর দিয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসগুলোর মডেলগুলো। ঈদের আগেই আসছে ২৩ এপ্রিল থেকে মে মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তের পাহাড়ি এলাকায় ১০ দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  এর ফলে  ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের হাওর এলাকায় পাহাড়ি ঢল নামতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেলগুলোর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পূর্বাভাস মডেলগুলো বলছে, এপ্রিল মাসের ২৩ তারিখ থেকে মে মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ২ টি শক্তিশালি পশ্চিমা লঘু চাপ বাংলাদেশ ও ভারতের ওপর দিয়ে অতিক্রম করবে যার কারণে শক্তিশালি কালবৈশাখি ঝড়, তীব্র বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির হতে পারে।

Link copied!