ব্যবসায়ীকে আটক করে ২০টি স্বর্ণের বার লুটের মামলায় ফেনী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ছয় কর্মকর্তার রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১১ আগস্ট) জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ খান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ফেনী ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাহার হোসেন, মিজানুর রহমান ও নুরুল হক এবং সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অভিজিৎ বড়ুয়া ও মাসুদ রানা।
এই ছয় পুলিশ সদস্যকে বুধবার দুপুরে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ খানের আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. মনির হোসেন প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত ডিবির ওসি সাইফুল ইসলামের চার দিন এবং বাকি পাঁচজনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া ছয় পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে পুলিশ সুত্র জানিয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার নুরুন্নবী গণমাধ্যমকে জানান, চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাসের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফেনী গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) সাইফুল ইসলাম, তিন এসআই ও দুই এএসআইসহ মোট ছয়জনকে আটক করে জেলা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় ডাকাতির মামলা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, গত ৮ আগস্ট রবিবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে ফেনীর ফতেহপুর ফ্লাইওভারের নিচে চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাসকে আটক করে ২০টি স্বর্ণের বার ছিনিয়ে নেয় ডিবি পুলিশ। গোপাল কান্তিদাস এ বিষয়ে মঙ্গলবার জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে ফেনী মডেল থানা পুলিশ।
গোপাল কান্তি দাস সাংবাদিকদের বলেন, ২০টি স্বর্ণের বারের মূল্য এক কোটি ২৪ লাখ টাকা।