বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের সহযোদ্ধা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রবিবার (৮ আগস্ট) সকালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী পক্ষে ও পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি একথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন,‘পর্দার অন্তরাল থেকে সঙ্কটে-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস দিয়েছেন বেগম মুজিব। বিশ শতকের অন্যতম সেরা বাঙালি নারী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।’
তিনি বলেন, ‘এই ত্যাগী নারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে জাতির সেবায় মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, রাজনীতির নানা দুঃসময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলেন গঠনমূলক পরামর্শ।’
বঙ্গমাতার বলিষ্ঠ ও সময়োপযোগী পরামর্শগুলো জাতির জীবনে সুফল বয়ে এনেছে, যা জাতীয় ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ব বরেণ্য রাষ্ট্রনায়কে পরিণত করতে বঙ্গমাতার অবদান রয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আপোষহীন লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে শুধু বাঙালি জাতির পিতাই হননি, বিশ্ব বরেণ্য রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছিলেন। এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তারই সহধর্মিণী, মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম উপস্থিত ছিলেন।