বন্দর দখল নিতে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০ শ্রমিক

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ২৮, ২০২২, ০৩:৩৪ পিএম

বন্দর দখল নিতে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০ শ্রমিক

বেনাপোল স্থল বন্দরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এ সংঘর্ষে পথচারীসহ বন্দরের ২০ শ্রমিক আহত হয়েছেন। এতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ পণ্য খালাস প্রক্রিয়া।

সোমবার সকালে বন্দরের হ্যান্ডলিং কার্যক্রম দখলে নিতে শ্রমিক সংগঠনের অফিসের সামনে বোমা হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। আহতদের নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

নাভারণ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। সংঘর্ষ  শুরু হওয়ার পর থেকে স্থলবন্দরটিতে পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় ‍সূত্র ও পুলিশ জানায়, বেনাপোল পোর্টের দুই পাশের অংশকে দখল করাকে কেন্দ্র করে পৌর কাউন্সিলর রাশেদ ও বেনাপোল বন্দরের ইজারাদার শার্শা উপজেলা শাখা যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান ওহিদের সমর্থক শ্রমিকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ঠিকাদার অহিদুজ্জামান অহিদ গণমাধ্যমকে জানান, সকালে প্রতিদিনের মতো শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন। কোনো কিছু বোঝার আগেই বহিরাগত একদল শ্রমিক বন্দরের সামনে অর্ধ শতাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ফলে বন্দরে সব ধরনের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। রাশেদ বাহিনীর লোকজন বন্দরে এ ধরনের বোমা হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

শ্রমিক ঠিকাদার অহিদুজ্জামান অহিদের অভিযোগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে পৌর কাউন্সিলর রাশেদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে নাভারন পুলিশের ‘ক’ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান গণমাধ্যমে বলেন, “বোমা হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তদন্তে জানা গেছে রাশেদ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে বন্দরে বোমা হামলা করা হয়েছে। আমরা তিনজনকে আটক করেছি।”

Link copied!