কক্সবাজার শহরের আলোচিত মেহেদী হত্যা মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ বন্ধুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় তাদের প্রত্যেককে নগদ পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালত এই রায় দেন। এ সময় মামলার প্রধান আসামি ফারুক ও শাহেদ কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কক্সবাজার শহরের বাহারছরার বাসিন্দা ফরিদ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক, আবুল বশরের ছেলে শাহেদ, মধ্যম বাহারছরার তৈয়বুর রহমানের ছেলে সাগর, জহির আহমদের ছেলে মিঠু ও আমির হোসেনের ছেলে ওয়াসিম।
বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোজাফফর আহমদ হেলালী। অপরদিকে, আসামিপক্ষে আইনি লড়াই চালান মোহাম্মদ জাকারিয়া, তৌহিদুল আনোয়ার, আমির হোসেন।
আদালতের নির্দেশ মোতাবেক, প্রত্যেক আসামির জরিমানার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা করে সরকারি কোষাগারে জমা হবে। বাকি টাকা ভিকটিমের মা রোজিনা আক্তারকে দিতে হবে।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত (পিপি-১) মোজাফফর আহমদ হেলালি গণমাধ্যমে বলেন, “ছেলেকে হত্যার দায়ে ২০১০ সালের ২২ এপ্রিল ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা। দীর্ঘ তদন্ত শেষে এজাহারভূক্ত আসামি হুমায়ুনকে বাদ দিয়ে মধ্যম বাহারছড়ার তৈয়বুর রহমানের ছেলে সাগরকে যুক্ত করে এজাহার নামীয় বাকি চারজনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত চার্জ গঠন করে দীর্ঘ যুক্তিতর্ক শেষে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দেন।
প্রসঙ্গত, মেহেদি হাসান কক্সবাজার শহরের বাহারছরা আরজু ম্যানসনের বাসিন্দা মরহুম মোহাম্মদ সোলাইমান পেশকারের ছেলে। ২০১০ সালের ২০ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার শহরের সার্কিট হাউজ রোডে (বন বিভাগের সামনে) বন্ধুদের সাথে বাকবিতান্ডার জেরে হামলায় মেহেদি হাসানের মৃত্যু হয়।