জাতীয় শোক দিবসে জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠি চার্জ ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভুর সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী ‘অশোভন’ আচরণের প্রতিবাদে উত্তাল বরগুনার আওয়ামী লীগ।
এ ঘটনায় বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
রাত ৮টায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে পৌর সুপার মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. জাহাঙ্গীর কবির।
তিনি বলেন, লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কোনো কাউন্সিল ছাড়া বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি দিয়েছে। এ কমিটিকে জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ কেউ সহায়তা করবে না। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বাদ দিয়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে। এ কমিটি বাতিল করতে হবে। নতুন পদ পাওয়া সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। নতুন কমিটিকে আমরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম।
ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু তার বক্তব্যে বলেন, কালকের ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমাদের ছেলেদের কোনো দোষ ছিল না। তবু নির্বিচারে পেটানো হয়েছে তাদের। মহরম আলীর নেতৃত্বে পুলিশ এমন জঘন্য কাণ্ড ঘটিয়েছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই। এ ঘটনায় যারা আহত হয়েছে, তাদের চিকিৎসার সব ভার বহন করবে জেলা আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে নিজ হাতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার এ অগ্রযাত্রায় বাধা দিতে কুচক্রীরা এখনও সক্রিয়।
জানা যায়, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে ফুল দিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন শিল্পকলা একাডেমির সামনে পৌঁছলে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত এক গ্রুপের সদস্যরা তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ সময় এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু বার বার নিষেধ করলেও মহরম ও তার নেতৃত্বাধীন পুলিশ বাহিনী ছাত্রলীগের কর্মীদের পেটানো অব্যাহত রাখে।
ঘটনার পর সোমবার রাতে বরিশালের অতিরিক্ত ডিআইজি বরগুনা আসেন। তিনি বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম তারেক রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।