বরিশালে ইউএনও’র বাসায় হামলার তদন্ত চলছে:তথ্যমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ২২, ২০২১, ০৮:০৬ পিএম

বরিশালে ইউএনও’র বাসায় হামলার তদন্ত চলছে:তথ্যমন্ত্রী

সম্প্রতি বরিশালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসায় হামলা ও পুলিশের উপর হামলার বিষয়টির তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলা ও পুলিশের উপর হামলার বিষয়টিকে ‘স্থানীয় ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন। রবিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বরিশালের ঘটনা একটি স্থানীয় ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এনিয়ে বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের বক্তব্য চটজলদি হয়েছে।’

ইউএনও’র বাসায় হামলার ঘটনায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়রকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন।

গত ১৯ আগস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার স্বাক্ষরিত প্রেস রিলিজে এ দাবির কথা জানানো হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বরিশালের সংঘটিত ঘটনাবলীর বিষয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ  সার্ভিস এসোসিয়েশন-এর কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি সভা বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বরিশাল সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনে সংঘটিত ঘটনাবলীর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার শেষে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে- ‘আইনের মাধ্যমে দুর্বৃত্তদের মোকাবিলা করা হবে’ এবং ‘আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে’। বরিশালের ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, সরকারি কর্তব্য পালন করতে গিয়ে একজন নির্বাহী অফিসার কীভাবে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের দ্বারা হেনস্তা হয়েছেন। তার বাসায় হামলা করা হয়। যেখানে তার করোনা আক্রান্ত অসুস্থ পিতা-মাতা উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতেই ওই কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করা হয়েছে। তার বাড়ির গেট ভেঙে প্রবেশ করা হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি ব্যবহার করা হয়েছে। তার চামড়া তুলে নেয়ার জন্য প্রকাশ্যে স্লোগান দিয়ে মিছিল করা হয়েছে। মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ তার দুর্বৃত্ত বাহিনী সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীদের দিয়ে নানা প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে এবং সমস্ত জেলায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন এমন কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানায়। বরিশালের মেয়র যার অত্যাচারে সমগ্র বরিশালবাসী অত্যন্ত অতিষ্ঠ সেই সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র হুকুমেই এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে তারা মনে করেন। বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন অবিলম্বে তার গ্রেপ্তার দাবি করছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে।’

এর আগে, গত ১৮ আগস্ট রাতে বরিশার সদর ইউএনও’র বাসায় পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়। বুধবার রাতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় উপস্থিত সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহও আঘাতপ্রাপ্ত হন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন। আহতদের মধ্যে ৩ পুলিশ ও ২ আনসার সদস্য রয়েছেন বলে জানা গেছে।

Link copied!