বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মেয়র ও কাউন্সিল পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১৯ নেতাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
রবিবার (৪ জুন) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বহিষ্কার পত্র সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে ১৯ জনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয় দলটি। তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। সকলে যথাসময়ে জবাব দেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, তাদের জবাব সন্তোষজনক নয়। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে তারা খুন-গুমের শিকার পরিবারসহ গণতন্ত্রকামী জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। গণতন্ত্র উদ্ধারের ইতিহাসে তাদের নাম বেঈমান, বিশ্বাসঘাতক ও মীর জাফর হিসেবে উচ্চারিত হবে।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান রূপন। কাউন্সিলর প্রার্থী যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান টিপু, আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ, শাহ আমিনুল ইসলাম আমিন।
মহানগর কমিটির সদস্যরা হলেন- ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. সেলিম হাওলাদার, সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর জাহানারা বেগম, সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর সেলিনা বেগম, সংরক্ষিত ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রাশিদা পারভীন।
এছাড়াও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সৈয়দ হাবিবুর রহমান ফারুক, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবীর লিংকু, ১৫ নম্বরে ওয়ার্ড বিএনপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউল হক মাসুম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাবের আবদুল্লাহ জাবির, জেলা তাঁতীদলের সাবেক সভাপতি কাজী মো. শাহিন, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক ইসলাম, ২২ নম্বর মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেসমিন সামাদ শিল্পী, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ফিরোজ আহমেদ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, মহানগর বিএনপির সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. হুমায়ন কবীর।
এছাড়াও ৩ জুন খুলনার ৮ নেতাকর্মীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এর আগে গত ২৫ মে সম্পন্ন হওয়া গাজীপুর সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় বিএনপির ৩৯ জন নেতাকর্মী-সমর্থককে বহিষ্কার করা হয়েছে।