বস্তিবাসী সিটি করপোরেশনের সেবা পাচ্ছে না

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ২৫, ২০২২, ০৬:৪৫ পিএম

বস্তিবাসী সিটি করপোরেশনের সেবা পাচ্ছে না

সিটি করপোরেশনের সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে ভুগছে রাজধানীর বস্তিগুলো। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বস্তি মানুষগুলো। বিশেষত রাজধানীর বস্তিগুলোতে সিটি করপোরেশনের কোন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই। বস্তির মানুষ নিজস্ব উদ্যোগে কিছু বর্জ্য সিটি করপোরেশনের বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে (এসটিএস) পৌঁছে দিলেও, অনেক বর্জ্য থেকে যায় বস্তিতে। যা বিভিন্ন খালে পরে খালগুলো জমাট হয়ে যায়। দেখা যায় জলাবদ্ধতা। বুধবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আঞ্চলিক কার্যালয়-২ এ কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা সভায় আলোচকেরা এসব কথা তুলে ধরেন। দূষণমুক্ত ঢাকা নগরীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ইউএসএইড এর আর্থিক সহযোগিতায় এবং কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের কারিগরি সহযোগিতায় ডিএসকে কনর্সোটিয়াম কর্তৃক বাস্তবায়িত ঢাকা কলিং প্রকল্পের উদ্যোগে সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় ডিএনসিসির অঞ্চল-২ এর সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফারজানা আজম বলেন, আমরা এখনো সচেতন হই নেই। বস্তি এলাকায় যাওয়ার যে রাস্তা সে রাস্তা এতো সরু যে সেখানে গিয়ে কাজ করার মতো পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ। এ রাস্তা গুলো ঠিক না হলে ঐখানে বর্জ্য সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব হবে না। 

মোল্লা বস্তি উন্নয়ন কমিটির সভাপতি সাইদুল ইসলাম বলেন, আমাদের ভোটের অধিকার আছে, ভাতের অধিকার নেই। আমরা পুরোপুরি ভাসমান থাকি। মোল্লা বস্তিতে ২৮ বছর ধরে থাকি। সেখানে সিটি করপোরেশনের কোন কাজই আমি দেখি নেই। শুধু মাত্র এনজিও গুলো কিছু কাজ করছে আমাদের জন্য। এর ফলে আমরা এখন কিছুটা ভালো রয়েছি। 

মোল্লা বস্তিতে ড্রেনের সমস্যা সবচেয়ে বড় সমস্যা। কারণ এখানে ড্রেনগুলোতে ময়লা জমে থাকে। এর ফলে সেই ময়লা রাস্তায়ও চলে আছে। আর সাথে সাথে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে যায়।

এলাকার মানুষজনকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর ট্রেনিং দেয়ার আহবান জানিয়ে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান বলেন, আমরা পরিস্কার -পরিচ্ছন্নতা করি জনগণের জন্য। কিন্তু সাধারণ জনগণ কি আসলেই বুঝে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কি। ফলে এ মুহুর্তে দরকার জনগণকে ট্রেনিং দেয়া। আগে মিরপুরে ব্যানার দিয়ে ভরা ছিলো। আমি এসে সব ব্যানার উচ্ছেদ করছি। এখন শহড় দেখতেই সুন্দর লাগছে। আমি মিরপুরে আমার কার্যালয়ে সপ্তাহে দুইদিন পরিস্কার - পরিচ্ছন্নতার উপর ট্রেনিং দিবো। পরিস্কার - পরিচ্ছন্নতার ট্রেনিং ছাড়া যতই আইন তৈরি হোক কোন সমাধান আসবে না।

বস্তির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সিটি করপোরেশনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে কাপের নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার রেবেকা সান ইয়াত বলেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কি শুধু বস্তিবাসীরাই দায়ী। বড় বড় এপার্টমেন্ট এ সবচেয়ে বেশি বর্জ্য অব্যবস্থাপনা করা হয়। সকল নাগরিকদের সেবা দিতে হবে। উঁচু - নিচু বিভেদ করলে কোন কিছুরই সমাধান হবে না। রাষ্ট্রকে ১০০ বছরের পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ করতে হবে। এ কাজ করতে না পারলে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কখনোই সম্ভব নয়

Link copied!