বরিশাল সিটি নির্বাচন

বহিষ্কারের খড়্গ মাথায় নিয়ে ভোটে লড়ছেন ২১ বিএনপি প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ২৭, ২০২৩, ০২:০১ পিএম

বহিষ্কারের খড়্গ মাথায় নিয়ে ভোটে লড়ছেন ২১ বিএনপি প্রার্থী

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রয়েছে। এই ভোট না করার ঘোষণা দিয়ে তারা নেতাকর্মীদেরও তাতে অংশ না নিতে নির্দেশ দিয়েছে। তবে সিদ্ধান্ত অমান্য করে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ডজনেরও বেশি প্রার্থী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। ওই ভোটে অংশ নেওয়ায় ইতিমধ্যে ২৯ নেতাকে ‘আজীবন বহিষ্কার’ও করেছে দলটি। এমন ‘কঠিন সিদ্ধান্তে’র পরও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির অন্তত ২১ নেতা-নেত্রী প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়ছেন।

গত বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে কাউন্সিলর পদে পাঁচজন তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। বরিশাল সিটিতে মেয়র পদে বিএনপির পদধারী কোনো নেতা প্রার্থী হননি। তবে দলের প্রয়াত মেয়র আহসান হাবিবের ছেলে কামরুল আহসান স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

কামরুল আহসান সাংবাদিকদের বলেছেন, আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ব্যাপারে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো চাপ ছিল না। প্রার্থী হওয়ার জন্য দলের সাধারণ নেতা-কর্মীদের পক্ষ থেকে বরং চাপ ছিল। দলের নেতারা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে আমার পক্ষে থাকবেন। আমি টেবিলঘড়ি প্রতীক পেয়েছি। আমার বাবা ওই প্রতীক নিয়ে বরিশাল পৌরসভার মেয়র হয়েছিলেন।

নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির নেতারা হলেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতা সৈয়দ হাবিবুর রহমান, ৪ নম্বরে ওয়ার্ড বিএনপির নেতা ইউনুস মিয়া, ৬ নম্বরে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, ৮ নম্বরে বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সদস্য মো. সেলিম হাওলাদার, ৯ নম্বরে বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ ও যুবদল নেতা হুমায়ুন কবির, ১৫ নম্বরে বিএনপি নেতা সিদ্দিকুর রহমান, ১৮ নম্বরে ওয়ার্ড বিএনপির সদস্যসচিব জিয়াউল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জাবের আবদুল্লাহ, জেলা তাঁতি দলের সাবেক সভাপতি কাজী মো. শাহিন ও বিএনপি নেতা মানিক ইসলাম, ১৯ নম্বরে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আমিনুল ইসলাম, ২২ নম্বরে মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেসমিন সামাদ, ২৪ নম্বরে মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর ফিরোজ আহমেদ, ২৬ নম্বরে ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ২৮ নম্বরে সাবেক কাউন্সিলর বিএনপির নেতা মো. হুমায়ুন কবির এবং ৩০ নম্বরে বিএনপির নেতা খায়রুল মামুন।

সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২ নম্বরে মহানগর বিএনপির সদস্য ও বর্তমান কাউন্সিলর জাহানারা বেগম, ৯ নম্বরে সেলিনা বেগম ও ১০ নম্বরে রাশিদা পারভীন প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া আরও চারটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বিএনপির সমর্থক চারজন প্রার্থী হয়েছেন।

নগরীর সংরক্ষিত ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মহানগর বিএনপির সদস্য রাশিদা পারভীন বলেন, গত চারবার এ ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি। এবারেও নির্বাচিত হব। জনগণের স্বার্থে নির্বাচন করছি। এখন দল যদি মনে করে বহিষ্কার করা উচিত, করুক। আমাদের তো করার কিছু নেই।

Link copied!