বাংলাদেশেই তৈরি হবে বিশ্ব বিখ্যাত মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড রয়্যাল এনফিল্ডের মোটরসাইকেল। তৈরি করবে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান ইফাদ মোটরস। চট্টগ্রামে একটি কারখানাও স্থাপন করছে প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যেই ইফাদ মোটরসকে এ বিষয়ে অনুমতিপত্র পাঠিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
দেশি ক্রেতাদের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরেও এসব বাইক রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে ইফাদের।
বছর বিশেকে আগে দেশে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের সক্ষমতা অর্থ্যাৎ সিসি সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে নির্দিষ্ট সক্ষমতার (সিসি) বেশি মোটরসাইকেল দেশে চলতে পারত না। এ কারণে দেশ যেমন প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগ থেকে বঞ্চিত ছিল তেমনি ছিল গ্রাহকদের ক্ষোভ।
দেশের বাজারে বেশ কিছু মোটরসাইকেল নির্মাতা কোম্পানি নিত্যনতুন সুবিধা নিয়ে গ্রাহকদের মন জয়ের চেষ্টা করলেও গতিপ্রেমীদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। সর্বশেষ সরকার সিসি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও মাত্র ১৫ সিসি বৃদ্ধি করে। তাতে মন ভরে নি উচ্চ গতি আকঙ্ক্ষাসম্পন্ন বাইকারদের। তবে, সরকার সম্প্রতি ইফাদ মোটরসকে ৩৫০ সিসি থেকে ৫০০ সিসি পর্যন্ত ইঞ্জিন সম্পন্ন বাইক তৈরির অনুমতি দিয়েছে।
এলক্ষ্যে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে খসড়া আমদানি নীতি আদেশ-২০২১-২৪ সংশোধনের জন্য সুপারিশ করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। সংশোধিত খসড়া আমদানি নীতি আদেশে স্থানীয় প্রস্তুতকারকরা যাতে কারখানা স্থাপন এবং ৫০০ সিসির বাইক তৈরিতে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি করতে পারে সে ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়েছে।
তবে ২০২৩ সালের আগে বাংলাদেশে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিনের বাইক তৈরির অনুমতি দেওয়ার চিন্তার বিরোধিতা করছে বাংলাদেশ মোটরসাইকেল অ্যাসেম্বলার অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাদের আশঙ্কা, সিসি সীমাবদ্ধতা (বর্তমানে ১৬৫ সিসি) শিথিল করা হলে বর্তমান প্রস্তুতকারকরা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা থাকার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বিআরটিএ এখনও বিধিনিষেধের পক্ষে থাকলেও বিশ্বজুড়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত সম্পূর্ণ বিপরীত। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়ন্ত্রণ এবং সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য উন্নত বলে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিনের বাইকগুলো নিরাপদ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানায়, শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন তাতে তাদের কোনো সমস্যা নেই।