সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২, ০৮:৩২ পিএম
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ঘেঁষে অবস্থিত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। সীমান্তবর্তী এই রাজ্যে দেড় মাস ধরে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সংঘর্ষ ও গোলাগুলি চলছে। মিয়ানমার থেকে ছোঁরা মর্টারশেল ঘুমধুম ইউনিয়নের কোনারপাড়ায় একজন নিহতের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেবে স্থানীয় প্রশাসন।
বান্দরবানের সীমান্তবর্তী এলাকা জোরদার করা হয়েছে। বান্দরবান জেলা পুলিশ সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসন বলছে, ঘুমধুম ইউনিয়নের কোনারপাড়ায় গোলা পড়েছে। ওই জায়গায় প্রায় ৩০০ পরিবারের বসবাস করছে। জনসংখ্যা প্রায় হাজার খানেক। তাদের নিরাপত্তায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশ টহল। আপাতত কোনও গোলা পড়েনি কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তারপরও সব বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে। সীমান্তের অস্থিরতার সুযোগ কেউ যেন না নিতে পারে এ নিয়ে বিজিবির সাথে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে।
বিজিবি বলছে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ তাদের অভ্যন্তরীণ। সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে বিজিবি ও বিজিপি কাজ করছে।
বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত বান্দরবান জেলার মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। স্থানীয়দের সরিয়ে আনার কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত তা শুরু হয়নি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা ব্যবস্থা নেবো।