বিএনপি যতই সাধু সাজার চেষ্টা করুক তাদের আসল চেহারা বের হয়ে এসেছে: শেখ পরশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই ৩০, ২০২৩, ০৯:০৩ পিএম

বিএনপি যতই সাধু সাজার চেষ্টা করুক তাদের আসল চেহারা বের হয়ে এসেছে: শেখ পরশ

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আমার দাদী শেখ মুজিবুর রহমানের মেজো বোন তিনি একটা কথা বলতেন যে, কয়লা ধুলে ময়লা যায় না। বিএনপি যতই সাধু সাজার চেষ্টা করুক তাদের আসল চেহারা কিন্তু বের হয়ে আসছে।

রবিবার (৩০ জুলাই) বিকাল ৪টায়, ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসা নীতি হওয়ার পরেই তারা গত মাসে চট্টগ্রামে সমাবেশ শেষে ফেরার পথে রাতের অন্ধকারে বাস পুড়িয়েছে, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ছবি নিয়ে তৈরি ম্যুরালে ভাংচুর চালিয়েছে এবং যানমালের ক্ষতি সাধন করেছে। গত জুন মাস থেকে এ পর্যন্ত বিএনপি-জামাত আমাদের চার পাঁচ জন নেতা-কর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। নিন্দা করার ভাষা আমাদের নাই।

তিনি বলেন, আমরা তাদেরকে শুধু সতর্ক করে বলতে চাই, আপনারা এদেশের শান্তি প্রিয় নাগরিকদের যানমালের ক্ষতি করবেন, তাদের গায়ে হাত তুলবেন আর যুবলীগ বসে বসে আঙ্গুল চুষবে, এটা আপনারা কল্পনা করতেও পারবেন না। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সৃষ্টি করেছে মুজিব বাহিনীর প্রধান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি। এই সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সবাই মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান। মুক্তিকামী বাঙালির সন্তান। এদেরকে আপনারা এইভাবে দমন পীড়ন করবেন আর আমাদের যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ঠান্ডা হয়ে বসে থাকবে না।

তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আপনাদের আহ্বান জানাবো, আপনারা সজাগ এবং সচেতন থাকবেন একই সাথে সতর্ক থাকবেন। এই খুনির দল যারা ১৯৭১ সারে শান্তি প্রিয় স্বাধীনতাকামী সাধারণ মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। যারা ১৪ই ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট যারা ঘটিয়েছিল সেই খুনিদের নিয়ে যারা রাজনৈতিক দল গড়ে, জোট করে তাদের যারা পৃষ্ঠপোষক করে তাদের নিয়ে এই বিএনপি-জামাত। এ কারণেই তারা খুনিদের দল। তাদের শীর্ষ নেত্রী এদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়েও কটুক্তি করতে ছাড়ে নাই। তারা ২০০১ সালেও ঐ খুনিদের সাথে জোট করে ক্ষমতায় এসেছে। তারা এই বাংলাদেশ বিরোধী, তারা এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তারা এদেশের স্বাধীনতা লুণ্ঠন করতে চাই। আজকে যখন বাংলাদেশ একটা প্রগতিশীল উন্নয়নশীল বাংলাদেশ গড়ার পথে।

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যখন উন্নয়নের মহাসড়কে তখন তারা বিদেশীদের সাথে ষড়যন্ত্র করে হত্যা এবং খুনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করতে চাচ্ছে। আমাদের নেত্রী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হিসেবে মনে করেন। একারণেই তিনি এদেশের প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন করে চলেছেন। আজকে শেখ হাসিনার উন্নয়ন সারা বিশ্বের রোল মডেল। আল জাজিরার প্রতিবেদনেও আজকে স্বীকার করা হয় যে, বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে। আজকে শেখ হাসিনার যে অর্জন সেটা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করতে পারে না।

তিনি বলেন, আমাদের যুবলীগ এদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। যত দিন আপনারা এইভাবে আত্মত্যাগী ভূমিকা রাখবেন এবং গত ২ মাস যাবৎ যে ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয় দাবিদার। যুবলীগ সবচেয়ে আন্তরিক ও একনিষ্ঠভাবে সংগঠন করে। যুবলীগের নেতা-কর্মীরা যতদিন সজাগ সতর্ক ও সচেতন থাকবে কোন অপশক্তি বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রাকে রুখতে পারবে না। আজকে তারা হত্যা এবং খুনের পথ বেছে নিয়েছে। এটা তাদের সেই পুরাতন চেহারা। তারা নিজেরাই এখন ভিসানীতির আওতায় পড়ে গেছে। এখন বিএনপি চাচ্ছে যে, নিজে যখন মরবো, সবাইকে সাথে করেই মরবো। কিন্তু আমরা সেই পথ বেচে নিবো না, আমরা শান্তি প্রিয় আছি, আমাদের শান্তি প্রিয় মনোভাবকে দুর্বলতা ভাববেন না। এটা শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি’র হাতে গড়া সংগঠন। এই সংগঠনের প্রত্যেকটা এক একটা যোদ্ধা। এই সংগঠনের নেতা-কর্মীদের দুর্বল ভাববেন না। আর একবার হাত তুলে দেখেন, সেই হাত আমরা ভেঙ্গে দেবো। যুবলীগের নেতা-কর্মীরা এদেশের অগ্রযাত্রায় জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে যে কোন আত্মত্যাগ করতে প্রস্তুত।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা ও সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।

Link copied!