দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন সহিংসতার মধ্য দিয়ে তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে শেষ হয়েছে ১০ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ।
রবিবার(২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টায় তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। দেশের বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট, ভোট বর্জন, ব্যালট পেপার ছিনতাই ও হামলা-পাল্টা হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এবার ৩৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম), বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে ১০১ জন চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া, সাধারণ সদস্য পদে ৩৩৭ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৩২ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ কোটি ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ কোটি ২ লাখ ১৫ হাজার ৪২৩ জন, মহিলা ভোটার ৯৯ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৮ জন এবং হিজড়া ভোটার ১৯ জন। এই ধাপের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১০ হাজার ১৫৯টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৬১টি হাজার ৮৩০টি।
ইসি সূত্র জানায়, আগামী ২৩ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ৮৪০টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ হবে। এসব ইউনিয়নে ২৫ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৯ নভেম্বর। আপিল ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর। আপিল নিষ্পত্তি ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৬ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ৭ ডিসেম্বর।
এছাড়া, ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চম ধাপের নির্বাচন। ওই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ৭ ডিসেম্বর। আর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ৯ ডিসেম্বর। আপিল ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর, নিষ্পত্তি ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ১৫ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ ডিসেম্বর বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।