মাঠে সাকিব আল হাসান যেমন ব্যাটে-বলে নৈপূণ্য দেখান, মাঠের বাইরেও তিনি মিডিয়ার সব মনোযোগ লুফে নেন। আলোচনা এবং সমালোচনার নৌকা বেয়ে চলেন তিনি। করেন একের পর এক শৃঙ্খলা ভঙ। ক্রিকেটে ভাঙেন নানা রেকর্ড। ফলে আলোচনা তার পিছু ছাড়ে না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজ দারুণভাবে শেষ করে উড়াল দিয়েছিলেন দুবাইয়ে। সেখানে পুলিশ হত্যার এক ফেরারী আসামির জুয়েলারি দোকানের উদ্বোধনে গেলে শুরু হয় ফের আলোচনা সমালোচনা।
জানা গেছে, গোয়েন্দা পুলিশ নাকি সাকিবকে সেখানে যাওয়ার ব্যাপারে আগেই সতর্ক করেছিল। সেই সর্তক বার্তাকে আমলে না নিয়ে স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করে ফিরে এসেছেন তিনি। এ অবস্থায় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দরকারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরাধীর দোকান উদ্বোধন করা অপরাধীকে সহায়তারই শামিল। এমন অপরাধে গ্রেপ্তারও হতে পারেন সহায়তাকারী।
কিন্তু বিসিবি বলছে, সাকিব আল হাসান দেশের সম্পদ। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস বলেন, সাকিব শুধু বিসিবিরই সম্পদ নয়,দেশের সম্পদ। তাকে দেখাশোনা করা আমাদের দায়িত্ব।
সাকিবের বিতর্কিত এই ইস্যু নিয়ে জালাল ইউনুস আরও বলেছেন, এ ঘটনার এক দিন পরই সিরিজ শুরু হয়ে গেছে। আইসিসির মিটিংয়ের জন্য বোর্ডের সভাপতি ও সিইও বিদেশ সফরে আছেন, ওনারা এলে আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করব কী করা যায়।
বিসিবির এই পরিচালক আরও বলেন, আমাদের শৃঙ্খলা কমিটি আছে। ওনারা যদি মনে করেন এখানে কোনো কিছু তদন্ত দরকার, তাহলে তারা দেখবেন। পুরোপুরি তদন্ত না করে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।