জুন ১১, ২০২৩, ১১:৫৬ পিএম
দিন পেরোলেই খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। সোমবার (১২ই জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইভিএমে ভোট গ্রহণ চলবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতায় কোনো কমতি রাখেনি নির্বাচন কমিশন। যদিও দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এ নির্বাচন বর্জন করেছে।
খুলনা সিটি নির্বাচনে এ বছর ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন ভোটার নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদান করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার দুই লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন। বাকিরা পুরুষ ভোটার। ভোট গ্রহণ কার্যক্রম সহজ করতে এসব কেন্দ্রে এক হাজার ৭৩২টি বুথ স্থাপন করা হচ্ছে। ভোট গ্রহণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ২৮৯জন প্রিজাইডিং অফিসার, এক হাজার ৭৩২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৩ হাজার ৪৬৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।
নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে স্থাপন করা প্রায় দুই হাজার সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে সরাসরি মনিটরিং করবে সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা।
নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কেসিসি এলাকার মধ্যে ১০ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত বৈধ অস্ত্র বহন, প্রদর্শন ও চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এদিকে ভোটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে পুরো নির্বাচনি এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ পুলিশ নগরীর বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১১ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার মধ্যরাত থেকেই যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পাশাপাশি মহানগরী এলাকায় বহিরাগতদের না থাকার ঘোষণাও দিয়েছে প্রশাসন।
নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ, সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী হলেন-আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাপার শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), স্বতন্ত্রপ্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেয়াল ঘড়ি) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল) প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। সিটি কর্পোরেশনে ৩১টি ওয়ার্ড রয়েছে। এছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে ১০টি।