ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী ফয়সাল ভারতে গ্রেপ্তার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ৬, ২০২২, ০৮:৫৭ পিএম

ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী ফয়সাল ভারতে গ্রেপ্তার

লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফয়সাল আহমদ ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত ১ জুলাই বেঙ্গালুরুর বোম্মনাহাল্লিতে তিনি গ্রেপ্তার হন। ৩ জুলাই তাঁকে কলকাতায়  নেওয়া হয়। বুধবার কলকাতা পুলিশের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।

জিজ্ঞাসাবাদ করে ভারতের মাটিতে ফয়সালের জঙ্গিবাদী কার্যক্রমের তথ্য মিলেছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাঁকে এবার বাংলাদেশ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

জেরায় জানা গেছে, সিলেটে ব্লগার হত্যাকাণ্ডের সময়ে ফয়সাল ছিলেন মেডিকেলের ছাত্র। জড়িয়ে পড়েছিলেন আল-কায়দার ছায়া সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সঙ্গে। বিভিন্ন মাদ্রাসায় পড়ানোর আড়ালে জেহাদি মতাদর্শ ছড়িয়েছেন ফয়সাল।

বাংলাদেশে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এখন কোনো কার্যক্রম নেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এর আগে এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে ভারতের আসামে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম সক্রিয় হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এতে চিন্তায় ভারতের পুলিশ।

২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বিজ্ঞানলেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশকে (৩২)। পেশায় ব্যাংকার অনন্ত ‘যুক্তি’ নামে একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন তিনি। গত মার্চে অনন্তের খুনের মামলায় সিলেটের সন্ত্রাস-বিরোধী ট্রাইবুনাল আবুল হোসেন, ফয়সাল আহমদ, মামুনুর রশীদ এবং আবুল খায়ের রশীদ আহমদকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আবুল, ফয়সাল ও মামুনুর পলাতক ছিলেন।

কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, জুনের গোড়ায় বাংলাদেশের গোয়েন্দারা ফয়সালের খোঁজ পান ভারতে। তার মোবাইল নম্বর কলকাতা পুলিশকে দেওয়া হয়েছিল। দায়িত্ব নেয় এসটিএফ। মোবাইল ট্র্যাক করে বেঙ্গালুরুতে ফয়সালকে পায় পুলিশ। ১ জুলাই বোম্মনাহাল্লি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৩ জুলাই কলকাতায় আনা হয় তাকে।

ফয়সালের কাছে যে পাসপোর্ট মিলেছে, সেখানে রয়েছে কাছাড়-ঘেঁষা মিজোরামের ঠিকানা। তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স জোগাড় করেন বেঙ্গালুরু থেকে। ভোটার কার্ড শিলচরের। সেখানে তার পরিচয় শাহিদ মজুমদার।

কলকাতা পুলিশ জানায়, জেহাদি কার্যকলাপের অভিযোগ স্বীকার করে ফয়সাল জানিয়েছেন, ২০১৫ সালেই তিনি শিলচরে পালিয়ে যান বাংলাদেশ থেকে। তবে ব্লগার হত্যায় জড়িত থাকার কথা তিনি স্বীকার করেননি। তার দাবি, তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

Link copied!