জুন ১৬, ২০২২, ০২:৪৪ পিএম
ব্লগার নাজিমউদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ পাঁচজনকে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন।
আগামী ২৫ জুলাই তাদেরকে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দুটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। পলাতক আসামিরা হলেন—সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর (বহিষ্কৃত) জিয়া, আকরাম হোসেন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী, জুনাইদ আহমেদ ওরফে মওলানা জুনাইদ ও রাশিদুন্নবী ভূঁইয়া ওরফে তাহসিন।
মামলায় ২০২০ সালের ২০ আগস্ট জিয়াউল হকসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। মামলায় রশিদ উন নবী, মোজাম্মেল হোসাইন সায়মন, আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আবদুল্লাহ নামের চারজন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। চারজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে ওই চারজন বলেছেন, অনলাইনে লেখালেখি করার কারণে নাজিমউদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
২০১৬ সালের অক্টোবরে রশিদ উন নবীকে গ্রেপ্তার করার পর ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) তৎকালীন প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছিলেন, নাজিমউদ্দিনকে হত্যার আগে তিন মাস ধরে পরিকল্পনা সাজায় জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম। নাজিমউদ্দিন মেসে থাকতেন। তাই সেখানে গিয়ে খুন করা সম্ভব নয় বলে যাওয়া-আসার পথে তাঁকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় গোষ্ঠীটি। পরে ওই বছরের ৬ এপ্রিল রাতে পাঁচজন মিলে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেন।