নোয়াখালীর ভাসানচরের পরিবেশ-পরিস্থিতি ও স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের সুযোগ-সুবিধা দেখতে এই প্রথম সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছে জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল।
বুধবার সকালে জাতিসংঘের ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়ে দুপুর নাগাদ ভাসানচরে পৌঁছায়। দুপুরের দিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলের ভাসানচরে যাওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলটি ভাসানচরে তিন দিন থাকবে। এ সময় তারা ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য যেসব ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা ঘুরে ঘুরে দেখবে। তারা রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনের বিষয়ে খোঁজখবর নেবে। একই সঙ্গে সেখানে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলবে।
জাতিসংঘের কোনো প্রতিনিধিদল এই প্রথম দ্বীপটি সফর করছে। তার আগে গত মাসে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) একটি প্রতিনিধিদল ভাসানচরে গিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে চাপ কমাতে বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে ভাসানচরে ১ লাখ রোহিঙ্গা স্থানান্তরের ব্যবস্থা করেছে। ইতিমধ্যে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে পাঁচ দফায় ১৩ হাজার ৭৬০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হয়েছে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তার আগে আসে আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।