নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ভোট নিজের পক্ষে ও হাতির পক্ষে রয়েছে জানিয়ে ভোটগ্রহণ সুস্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জয়ের আশবাদ ব্যক্ত করেছন মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার।
রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তৈমুর আলম খন্দকারের সঙ্গে কর্মী-সমর্থকরা ছিলেন। এরপর তিনি নগরীর বিভিন্ন ভোট কেন্দ পরিদর্শন করবেন।
জয়ের ব্যাপারে আপনি কতটুকু আশাবাদী? -সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তৈমুর আলম বলেন,“ জনগণ আমার পক্ষে আছে, হাতির পক্ষে আছে। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবো, ইনশাআল্লাহ।”
ভোটের পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে নাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র এই প্রার্থী বলেন, “আপাতত ভাল দেখছি পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক আছে। একটি কেন্ত্র ছাড়া সবগুলোতে এজন্ট দিতে পেরেছি। ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে ভোটের পরিবেশ সম্পর্কে বলা যাবে।”
ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেওয়ায় সমস্যা হচ্ছে অভিযোগ করে তৈমুর আলম খন্দকার আরও বলেন, “আইডি কার্ড ছাড়া ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। অনেকে আইডি কার্ড ছাড়াই কেন্দ্রে আসছেন।” তাদের আঙ্গুলের ছাপ মিললেই তারা যেনো ভোট দিতে পারেন-এর জন্য তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ সিটির মেয়র হওয়ার আশায় দলীয় নির্দেশ অমান্য করেই হাতি প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদ হারানো অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। এর আগে ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। পরে দলের নির্দেশে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান। তবে এবার মরে গেলেও ভোট মাঠ ছাড়বেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। এ দুইজন ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরও পাঁচজন। মেয়র পদে অন্যরা হলেন— খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস, কামরুল ইসলাম স্বতন্ত্র।