জানুয়ারি ৯, ২০২২, ০৪:৩২ এএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। চোরের ১০ দিন আর গেরস্তের একদিন। তাদের ১০ দিন শেষ হয়ে গেছে। দেশ ও দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বটতলী বাজারে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় শহরতলীর বটতলী বাজারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “চট্টগ্রামে আমি শুনেছি, পুলিশ না-কি বিএনপির নেতাকর্মীদের লিস্ট করছে। আমি পুলিশকে বলেছি, এত বড় দলের নেতাকর্মীদের লিস্ট করে লাভ নেই। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের লিস্ট করুন। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও বলছি, গুটি কয়েক আওয়ামী লীগার আছেন, যারা ভোট চুরি-ডাকাতি ও লুটপাট করেন, তাদের লিস্ট করুন। তারা ছাড়া বাকি সবাই বিএনপি।”
তিনি বলেন, “আলোচনা শুরু হয়েছে। যারা ২০০৮ সালে, ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালে ভোট চুরি করেছে, সেই চক্র আগামী নির্বাচনে কীভাবে ভোট চুরি করবে, সেই আলোচনা করছে। আলোচনার নামে চলছে ভোট চুরির প্রক্রিয়া। এই চোরদের সঙ্গে আছে কিছু ছোটখাটো ছ্যাঁচড়া চোর, যারা পরগাছা, যারা নিজেরা চুরি করতে পারে না, চোরদের উচ্ছিষ্ট খায়, সেই ধরনের ছ্যাঁচড়া চোর। আমি তাদের নাম নিতে চাই না।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এই চোরদের। তারা বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করছে। এই চোরদের ধরতে হবে। তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। এ চোরদের জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। ইতোমধ্যেই তাদের বুকে ধড়ফর শুরু হয়েছে। আপনারা জনগণের পাশে দাঁড়ান, প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি ইউনিয়নে, প্রতিটি ইউনিটে দেশের জনগণ প্রস্তুতি নিচ্ছে। আন্দোলন সফল করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশ থেকে নিষেধাজ্ঞা আসছে। আগামী দিনে আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। তারা দেশ থেকে পালিয়েও রক্ষা পাবে না, যা বিদেশে পাঠিয়েছে, তা বাজেয়াপ্ত করা হবে।”
আমীর খসরু মাহমুদ সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “সময় এসে গেছে, অত্যাচারী, অবৈধ, অনির্বাচিত সরকারের নির্দেশে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। জনগণের সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন। কাউকে সরকারে রাখার জন্য আপনারা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী হননি। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ সুরক্ষায় কাজ করার কথা চিন্তা করুন।”
তিনি বলেন, “একটি ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়েছে। সেসব মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। এখনও সময় আছে, দেশের পক্ষে দাঁড়ান।”
এদিকে, ১৪৪ ধারা জারি হওয়ার কারণে শনিবার ভোর থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৪০টি পয়েন্টে প্রায় ৫০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। পৌর এলাকার ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টারের সামনে একই সময়ে বিএনপি মহাসমাবেশ ও ছাত্রলীগ ছাত্র সমাবেশ আহ্বান করায় শনিবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সমগ্র পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।