নারায়ণগঞ্জ শহরে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শাওনের জানাজা ও দাফন পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় শাওনের লাশ তার বাড়িতে নেওয়া হয়।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশের উপস্থিতিতে নিহত শাওনের বড় ভাই মিলন প্রধান ও মামা মোতাহার হোসেনের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। পরে পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পাহারায় শাওনের লাশ বাড়িতে নেওয়া হয়।
এর আগে গতকাল বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে চিকিৎসকেরা শাওনের লাশের ময়নাতদন্ত করেন। ময়নাতদন্তের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে নিহত শাওনকে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেদের দলের কর্মী বলে দাবি করেছে। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর মাস্টারের নেতৃত্বে শাওনের হত্যার বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, শাওন যুবদলের রাজনীতি করতো। গতকাল সে মিছিলের সামনে ছিলো।
সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশ কোন ব্রিফিং করেননি। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।
উল্লেখ্য, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু ছাড়াও পথচারী-নারীসহ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ২৬ জন। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ লাঠিপেটায় আহত হয়েছেন পুলিশের সদস্যসহ অর্ধশতাধিক মানুষ।