ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩, ০৮:০১ পিএম
মস্কোয় বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মন্তব্য পাওয়া গেছে। ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, রাশিয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকেছিলেন। সেখানে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এটাকে তলব বলা ঠিক হবে না, কারণ রাশিয়ার জাহাজ ভিড়তে না দেওয়ায় ঘটনাটি ৬ সপ্তাহ আগের। আমরা মনে করি না শুধু একটি জাহাজের জন্য বা সুনির্দিষ্ট কোনো একটি কারণে রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে।
এদিন বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এবং জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন এসব মন্তব্য করেন।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি মস্কোয় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। রুশ সরকারি বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়ার জাহাজগুলো বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তাঁকে তলব করা হয়েছে। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে সেহেলী সাবরীন এ বিষয়ে জানান, রাশিয়ার পক্ষ থেকে জাহাজকে বাংলাদেশে ভিড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে কোনো নির্দিষ্ট জাহাজ বা সংখ্যা নিয়ে আলোচনা হয়নি। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞার বাইরেও রাশিয়ার ১ হাজার ১০০ জাহাজ রয়েছে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা রাশিয়ার ৬৯টি জাহাজকে বাংলাদেশ কেন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, এমন প্রশ্নে সেহেলী সাবরীন বলেন, বাংলাদেশ বাণিজ্যনির্ভর দেশ। এ কারণেই আমাদের দেশের স্বার্থ বিবেচনায় ভেবেচিন্তে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ অনেক বড়, প্রায় ৮০ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের পণ্য নিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত জাহাজ উরসা মেজরকে বাংলাদেশে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। মার্কিন তথ্যের ভিত্তিতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার মস্কোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানকে তলব করে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।