কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীতে মাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাতে উপজেলার পান্টি বাজার এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মো. ফারুক নামে একজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
বুধবার বিকেলে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.কামরুজ্জামান তালুকদার।
ভুক্তভোগী তরুণী কুষ্টিয়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এ বছর স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। জোরপূর্বক কাবিননামায় সই করিয়ে বিয়ে করা ওই তরুণের নাম তিতাশ (৪০)। তিনি পান্টি এলাকার মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের নাতি। বর্তমানে বরিশাল জেলার বাসিন্দা।
বুধবার সকালে ভুক্তভোগী তরুণীর মা গণমাধ্যমকে বলেন, “স্থানীয় ওয়াইফাই ব্যবসায়ী রোমান ও লাহোরী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিতাশসহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে বাসায় প্রবেশ করে। এ সময় তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, দা, ডাসা এবং দড়ি ছিল। তারা এসেই আমাকে বলে- তোর মেয়েকে তিতাশের সঙ্গে বিয়ে না দিলে মেরে ফেলা হবে। বিয়েতে রাজি না হলে ওরা প্রথমে আমাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মেয়ের কক্ষে নিয়ে যায়। পরে মেয়ের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে কাবিননামায় স্বাক্ষর করায়।”
ওই ভুক্তভোগীর মা আরও বলেন, “এ বিয়ে আমরা মানি না। থানায় মামলা করা হবে। আমরা খুব ভয়ে আছি।”
এদিকে, ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী দৈনিক সমকালের স্থানীয় প্রতিনিধিকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, “প্রায় ৬ বছর আগে থেকে তিতাশ আমাকে বিয়ের কথা বলে আসছে। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে বিয়ের কথা বলে। মাকে বেঁধে রেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। একপর্যায়ে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। পরে ভয়ে কাবিননামায় সই করেছি। সই করা হলে রাত দেড়টার দিকে ওরা চলে যায়।”
এবিষয়ে বুধবার বিকেল পৌঁনে ৫টার দিকে কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার দ্য রিপোর্টকে বলেন, “ সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। এ ঘটনায় ফারুক নামে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে আটক করে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রধান আসামি তিতাশকে ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”
ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত মামলা দায়ের হয়নি জানিয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মুল আসামিকে ধরতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”