মার্কিন স্যাংশনে সরকারের হাঁটু কাঁপতে শুরু করেছে: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ১৪, ২০২৩, ০৮:৫০ পিএম

মার্কিন স্যাংশনে সরকারের হাঁটু কাঁপতে শুরু করেছে: ফখরুল

সংগৃহীত ছবি

মার্কিন যুত্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় সরকারের হাঁটু কাঁপতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বুধবার চট্টগ্রামের কাজির দেউড়িতে চট্টগ্রাম বিভাগের বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ তারা (আওয়ামী লীগ) বলে আমরা ভয় পাই না। এমন ভয় পেয়েছে হাঁটু কাঁপতে শুরু করেছে। কারণ, তাদের সব কিছু তো বিদেশে। টাকা পাচার করেছে বিদেশে। এইবার যদি তুমি ভোটে আবার কারচুপি করতে যাও, এবার যদি দিনের ভোট রাতে করো। অথবা ওই কুত্তা মার্কা নির্বাচন করো, তাহলে তোমার রেহাই নাই। এইবার রেহাই নাই। আর রেহাই দেওয়া যাবে না।”

র‌্যাব ও র‌্যাবের বেশ কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “লজ্জায় আমরা মুখ দেখাতে পারি না। স্যাংশন দিয়েছে। আমেরিকা থেকে স্যাংশন। কেন? র‍্যাবকে কারা ব্যবহার করেছে। র‍্যাবকে কারা বলেছে, আমাদের ভাইদের তুলে নিয়ে গুম করতে। সেই সরকার।”

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই শুধু লাভবান হচ্ছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, জনগণের টাকা দিয়ে নিজের উন্নয়ন করছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত, তারা ছাড়া আর কেউ লাভবান হচ্ছে না। আজকে আমাদের সকল অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আদালতে গিয়ে যে আমরা ন্যায়বিচার পাব, সেই ন্যায়বিচার থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। পার্লামেন্টকে শেষ করে দিয়েছে।”

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন,“নির্বাচনব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে দিয়েছে। এই যে মেয়র নির্বাচন হয়েছে। বরিশাল, খুলনায় নির্বাচন হয়েছে। গাজীপুরে জাহাঙ্গীরের মায়ের কাছে হেরে গেছে।”

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এক মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার বিষয়টি  উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “বরিশালের পীর সাহেব একজন আলেম মানুষ। তাকে সবাই শ্রদ্ধা করে। শেষ পর্যন্ত তাকেও মেরে রক্তপাত ঘটিয়েছে।”

বিএনপি চেয়ারপারসন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন উল্লেখ কর দলের এই  মহাসচিব আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে, মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দিয়ে আটক করে রেখেছে। শুধু আটক করে রাখেনি, তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। তাকে কারাগারে অনেক দিন আটক করে রাখা হয়েছিল। বারবার বলেছি, তাকে মুক্তি দিন। আমরা জানি না, তাকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে কি না। কারণ, তিনি এখন যে অসুস্থ হয়েছেন, এতটা অসুস্থ হওয়ার কথা নয়। তাকে আবার হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে।”

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

Link copied!