হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের জরুরি অবতরণ করা বিমানটিতে কোনো বোমা পাওয়া যায়নি। বুধবার (১ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম তৌহিদুল উল আহসান।
তিনি বলেন, “বোমা থাকার সত্যতা পাওয়া না গেলেও এমন তথ্যকে গুরুত্ব দিয়ে বিমানটিকে একটি নিরাপদ জায়গায় রেখে তল্লাশি করা হয়। যাত্রী, এয়ারক্র্যাফট ও লাগেজের কোথাও বোমার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া তথ্য পাওয়ার পর আমরা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে মিটিং করি। সেই নিউজের কোনো সত্যতা মিটিংয়েও পাওয়া যায়নি। তবুও যেহেতু তথ্য পেয়েছি যে বিমানে একটি বোমা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ইস্যুটিকে হালকাভাবে নেব না। আমরা সমস্ত অপারেশন নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হই। আমরা তখন ঘোষণা দেই যে আমরা সব তল্লাশি করবো। নিয়ম অনুসারে সে সময় সমস্ত প্রয়োজনীয় কাজ করার জন্য প্রস্তুত হই।”
বোমা আতঙ্ক, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের জরুরি অবতরণ
তৌহিদ আরও বলেন, “আমরা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে খবর দেই। অল্প সময়ের মধ্যেই বোমা নিষ্ক্রিয় টিমসহ অন্যান্য টিম হাজির হয়। তখন এয়ারক্রাফট ল্যান্ড করে, র্যাব,এপিবিএন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ গোয়েন্দা সংস্থারা বিমানবন্দরে হাজির হয়। তারপর ব্যাপক তল্লাশি করা হয়। প্রথমে যাত্রীদের অফলোড করা হয়, এরপর তাদের নিরাপত্তা তল্লাশি করা হয়। বিমানের কার্গো অফলোড করা হয়। তল্লাশিতে বিপদজনক কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। সবশেষে বোম ডিসপোজাল টিমের কমান্ডার ঘোষণা দেন যে কোনো বোমার সন্ধান পাওয়া যায়নি, এয়ারক্র্যাফট নিরাপদ।”
উল্লেখ্য, বোমা আতঙ্কে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট জরুরি অবতরণ করেছে। বুধবার (১ ডিসেম্বর) ফ্লাইটটি রাত ৯টা ৩৮ মিনিটে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে ছেড়ে আসে।