দেশের ৪০ শতাংশ মানুষকে করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো করোনা নিয়ে সবাই ঝুঁকিতে আছে। তাই এখনো মাস্ক খুলে চলাফেরার সময় আসেনি। বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের উদ্যোগে তৈরি গাইডলাইন উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, “অন্যদেশের তুলনায় দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে এখনো মাস্ক খুলে ঘোরাফেরা করার সময় আসেনি। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “দেশের ৮০ শতাংশ মানুষের টিকা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার। এরইমধ্যে, ৪০ শতাংশ মানুষকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ২৫ শতাংশ মানুষ। বর্তমানে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বস্তিবাসীদেরও টিকা দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে টিকা প্রদান কার্যক্রম চালানো হবে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “মৃগীরোগ নিয়ে একসময় কুসংস্কার ছিল। বলা হতো, ভূতে ধরেছে। আধুনিক বিজ্ঞানের উন্নতিতে সে চিন্তার পরিবর্তন হয়েছে। গর্ভবতী নারীরা আঘাত পেলে ও অক্সিজেনের সংকটে পড়লে মৃগীর মতো মস্তিষ্কের রোগ দেখা দেয়।”
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মৃগীরোগকে মানবসভ্যতার অত্যন্ত পুরোনো রোগ বলে উল্লেখ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “এই মুহূর্তে মৃগীরোগসহ দেশে ২০ লাখ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষ রয়েছে। তাদের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মৃগীরোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিতে সরকার চেষ্টা করছে।”
“বাংলাদেশে প্রতি হাজারে ৮ জনের বেশি এই রোগে ভুগছে। চিকিৎসা নিলে ৭০ ভাগ রোগীই ভালো থাকে”-যোগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।