শুরু হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন। রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনস্থলে আসতে শুরু করেছেন কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, কালীমন্দির গেট, দোয়েল চত্বর, চারুকলার বিপরীত গেট দিয়ে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসছেন নেতাকর্মীরা। তাদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে আছে সমাবেশস্থল।
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মৎস্যজীবী লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, তাঁতি লীগ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সারাদেশের সাংগঠনিক জেলা থেকেও আসছেন নেতাকর্মীরা।
এবারের সম্মেলনের স্লোগান ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’।
সম্মেলন কেন্দ্রের মূলমঞ্চে প্রথম সারিতে আসন গ্রহণ করবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দ্বিতীয় সারিতে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সিনিয়র নেতা ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা বসবেন। এ ছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ সারিতে বসবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে সম্মেলন শুরু হবে। এরপর আধঘণ্টার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শেষে দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া শোক প্রস্তাব উত্থাপন করবেন।
এরপর প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এতে স্বাগত বক্তব্য দেবেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের সমাপ্তি ঘটবে।
দ্বিতীয় বা কাউন্সিল অধিবেশন হবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। এতে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে।
এবারের আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন সফল করতে কাজ করছে ১১টি উপকমিটি। এ বিষয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্মেলন সাদামাটাভাবে হলেও নেতাকর্মীদের ঢল নামবে। এবার সম্মেলনে সাজসজ্জা করা হয়নি। কারণ, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে নিয়ে ভাবেন। দেশের মানুষের কথা ভেবে এবার সাদামাটা সম্মেলন হচ্ছে।
সম্মেলনের মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির সদস্য সচিব ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, এবারের মঞ্চ দেখতে অনেকটা পদ্মা সেতুর ওপরে নৌকার আদলে করা হয়েছে। মূল মঞ্চের দৈর্ঘ্য ৮০ ফুট ও প্রস্থ ৪৪ ফুট এবং উচ্চতা ৭ ফুট।
আওয়ামী লীগের এই সম্মেলনে সারাদেশ থেকে প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর এবং লক্ষাধিক নেতাকর্মী অংশ নেবেন বলেও জানান তিনি।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে কৃচ্ছতা সাধন করতে এ সম্মেলনে বিদেশিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে দেশের ১৪ দলীয় জোট, জাতীয় পার্টিসহ নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সম্মেলন দুদিনব্যাপী হলেও খরচ কমাতে এবার তা হচ্ছে এক দিনে। এ বছর সম্মেলনের জন্য ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকার বাজেট পাওয়া গেছে।