মিতু হত্যা মামলার আরেক আসামি সাইদুল গ্রেপ্তার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ১৩, ২০২১, ০১:৪০ এএম

মিতু হত্যা মামলার আরেক আসামি সাইদুল গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাইদুল ইসলাম সিকদার ওরফে শাকুকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন-৭ (র‍্যাব)। বুধবার (১২ মে) রাতে রাঙ্গুনিয়ার রানীরহাট বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিনই বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় নতুন করে মামলা করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। গ্রেপ্তারকৃত সাইদুল মিতু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মুছার ভাই।

এর আগে, মঙ্গলবার (১১ মে) নিহত মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। একইদিন রাজধানীর ধানমন্ডির পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পিবিআই প্রধান উপ-মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার। তিনি বলেন, মিতু হত্যার সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। নতুন মামলা হলেই তিনি গ্রেপ্তার হবেন। উপ-মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার আরও বলেন, বাবুল আক্তারকে আজ গ্রেপ্তার দেখানো হবে এবং আগের মামলা ফাইনাল রিপোর্ট দেবে পুলিশ।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত মিতুকে ঘিরে ধরে প্রথমে গুলি করে। এরপর কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

ওই সময় মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। তার আগে তিনি চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন বাবুল আক্তার। মামলাটি চট্টগ্রামের নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ৩ বছর ১১ মাস তদন্তে থাকার পর গত বছরের মে মাসে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু বাবুল আক্তার মামলার বাদি। তাকে আটক করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন বুধবার আদালতে পাঠানো হবে।

কি ছিল সেসব ম্যাসেজে: মিতুর মায়ের দাবি করা একটি আর্ট পেপারে লেখা ২৯টি মেসেজের সবগুলোই ইংরেজিতে লেখা। মেসেজগুলোতে গায়ত্রী ও বাবুলের মধ্যে গভীর ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। একটি মেসেজে এমন লেখা হয়েছে, মাই পোয়েট মাই লাভ কাম টু মি’, লাভ ইউ মাই কিং উলড হ্যাভ কিসড ইউ প্যাশোনেটলি, ইফ ইউ ওয়্যার হেয়ার নাউ’, লাভ ইউ বেবি, গুড মর্নিং, কাম টু স্লিপ টু মি’।

গায়ত্রী এম্মারসিং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক ইউএনএইচসিআর প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশে প্রতিরোধ শাখার একজন কর্মকর্তা হিসাবে কক্সবাজারে কর্মরত ছিলেন। ২০১৩ সালে তখন বাবুল আক্তার কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বর্তমানে গায়ত্রী এম্মারসিং সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় কর্মরত।

 

 

Link copied!