ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩, ০৬:০২ পিএম
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় ময়মনসিংহের ত্রিশালের পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্যরা হলেন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন- প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন, রেজিয়া সুলতানা চমন ও ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার, মিজানুল ইসলাম ও গাজী এম এইচ তামিম।
২০১৫ সালের ১৯ মে মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন এ মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুই বছর তদন্তের পর আটজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ২০১৯ সালের ২৭ মে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
মামলার আট আসামির মধ্যে কারাবন্দী থাকা অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ এবং মিজানুর রহমান মন্টু।
বাকি পাঁচ আসামির মধ্যে বর্তমানে কারাগারে আছেন ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদ, হরমুজ আলী ও আব্দুস সাত্তার। পলাতক আছেন ফখরুজ্জামান ও খন্দকার গোলাম রব্বানী।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, গুম, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ২১ এপ্রিল থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ত্রিশাল উপজেলায় তারা অপরাধগুলো সংঘটিত করেন।