রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে ফল ঘোষণার পর কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আনিসুর রহমান।
বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন চলছে। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৮টা পর্যন্ত।
পুলিশ কমিশনার বলেন, রাজশাহী নগরজুড়ে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে আমাদের কাছে তথ্য আছে, ফল ঘোষণার পর কয়েকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তাই পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ৪০টি মোবাইল টিম মাঠে রাখা আছে।
এ ছাড়া নির্বাচনে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার এবং আর্মড পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রতি তিনটি ওয়ার্ডের জন্য একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত আছে।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে এবার মেয়র পদে প্রার্থী চারজন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)। তবে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী নির্বাচন বয়কট করেছেন।
এবার ২৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১১১ জন। একটি ওয়ার্ডে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৪৬ জন প্রার্থী। ১৫৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। এখানে ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এ ছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন ছয়জন। একজন হিজড়া সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী।